এখনো ভারতে হাত দিয়ে মানুষের মল পরিষ্কার চলছে
২৫ আগস্ট ২০২১গতমাসে ভারত সরকার জানায়, হাত দিয়ে মল পরিষ্কার করতে গিয়ে কারও মৃত্যু হয়নি৷ তবে সরকারের এমন বক্তব্যের সমালোচনা হয়েছে৷ সাফারি কর্মচারী আন্দোলনের বেজওয়াদা উইলসন টুইট করে জানিয়েছেন, এই কাজ করতে গিয়ে এবছর অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ আর ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৪৭২ জনের প্রাণ গেছে৷
বেসরকারি সংস্থা সুলভ ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা বিন্দেশ্বর পাঠক বলেন, সেপটিক ট্যাংক ও নর্দমা পরিষ্কার করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কারণে বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে৷ ‘‘যেমন বাতি হাতি নিয়ে অতিরিক্ত মিথেন গ্যাসে পূর্ণ নর্দমা পরিষ্কার করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান অনেকে,'' বলেন তিনি৷
এছাড়া বিষাক্ত গ্যাসের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে শ্বাসরোধেও অনেকে মারা যান৷ তাছাড়া কলেরা, হেপাটাইটিস, মেনেনজাইটিস, জণ্ডিস, চর্মরোগ, এমনকি হৃদরোগেও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷
দিল্লিসহ কয়েকটি রাজ্য নর্দমা পরিষ্কার কাজে মেশিন ব্যবহার শুরু করেছে৷ তবে মেশিনের সংখ্যা খুব বেশি নয়৷ এছাড়া অনেক জায়গায় সরু লেনের কারণে মেশিন ব্যবহার সম্ভব হয়না৷ আবার অনেক সেপটিক ট্যাংকের নকশা ঠিক না থাকায় সেগুলো মেশিন দিয়ে পরিষ্কার করা যায় না৷
গত বছর ভারত সরকার ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান' কর্মসূচির আওতায় ২০২১ সালের আগস্টের মধ্যে হাত দিয়ে মল পরিষ্কার পুরোপরি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল৷ তবে সরকারের এক প্রতিমন্ত্রী সম্প্রতি জানিয়েছেন, গতমাসে পরিচালিত এক জরিপে ৬৬ হাজার ৬৯২ জন পরিষ্কারকর্মীর তথ্য পাওয়া গেছে যারা হাত দিয়ে মল পরিষ্কার করেন৷
দলিত সম্প্রদায়ের লোকেরা মূলত এই কাজটি করে থাকেন৷
তানিকা গডবোল, নতুন দিল্লি/জেডএইচ