1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এক বছরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ছয়গুণ

৫ জানুয়ারি ২০২০

আবারো দাম বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের৷ প্রতি কেজি পেয়াঁজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে৷

https://p.dw.com/p/3Vjt0
Bangladesch Markt | Zwiebeln
ছবি: bdnews24.com/A. Mannan

ফলে গত এক বছরে পেয়াঁজের দাম বেড়েছে প্রায় ছয়গুণ৷ আর গত এক সপ্তাহে দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ৷

টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে পেঁয়াজের দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে নেমে এসেছিল৷ টিসিবি বলছে,  রবিবার (৫ জানুয়ারি) প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারে৷

সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর এই দিনে বাংলাদেশে পেঁয়াজের কেজি ছিলো ২৫ থেকে ৩৫ টাকা৷ সেই হিসেবে পেঁয়াজের দাম গত এক বছরে গড়ে বেড়েছে ছয়গুণ৷

চলতি সপ্তাহের এ দাম বৃদ্ধির জন্য আবহাওয়াকে দায়ী করছে ব্যবসায়ীরা৷ গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় পেয়াঁজের সরবরাহ কমেছে আর তাই দাম বেড়েছে বলে দাবি তাদের৷ 

বাজারে এখন দেশি নতুন পেঁয়াজের  ভালোই আমদানি আছে৷ বিশেষ করে ফরিদপুর এবং কুষ্টিয়ার পেঁয়াজ এখনো বাজারে আসছে৷ এরপর ধারাবাহিকভাবে অন্য এলাকা থেকেও পেঁয়াজ আসবে৷

কলাবাগানের  দোকানদার আব্দুর  রহিম জানান, দেশি পেঁয়াজের কেজি ১২০ টাকায় নেমে এসেছিলো৷ কিন্তু গত চার-পাঁচ দিনে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে৷ সঙ্গে বেড়েছে আমদানি করা পেঁয়াজের দামও৷

‘গত কয়েক দিন বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে’

আব্দুর  রহিম বলেন ‘‘আমরা গত কয়েকদিন ধরে পাইকারি বাজার থেকে দেশি পেঁয়াজ ১৮০ টাকা কেজি কিনে ২০০ টাকায় বিক্রি করছি৷ আর মিশরের পেঁয়াজ ১০০ টাকায় কিনে ১২০ টাকায় বিক্রি করি৷ তবে চায়না পোঁয়াজের দাম সবচেয়ে কম৷ কেজি ৫০ টাকায় কিনে ৭০-৮০ টাকা বিক্রি করি৷’’
তিনি জানান, ‘‘গত কয়েক দিন বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে৷ দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়ায় আমদানি করা পেঁয়াজের দামও বেড়েছে৷ এর আগে খুচরা বাজরে দেশি পেঁয়াজের দাম ১১০ থেকে ১২০ টাকায়  নেমে এসেছিল৷ তুরস্ক ও চীনের পেঁয়াজ ৭০ ও ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হতো খুচরা বাজারে৷
ঢাকার শ্যামবাজারের আড়তদার আব্দুল মাজেদ দাবি করেন, ‘‘দুই দিনের বৃষ্টির কারণে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে৷ ফলে দাম বেড়ে গেছে৷ তবে আজ ( রবিবার) আবার পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে এসেছে৷ প্রতি কেজি পেয়াঁজের পাইকারি মূল্য ১৬০ টাকা হয়েছিল৷ তবে আজকে আবার ১১০ টাকা হয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘ফরিদপুর, কুষ্টিয়া ও ঈশ্বরদীর নতুন পেয়াজ প্রায় শেষ৷ আবার এক-দেড়মাস পর নতুন পেঁয়াজ আসবে৷’’

এখন দেশি পেঁয়াজ আসছে প্রধানত কুষ্টিয়া এবং ফরিদপুর থেকে৷ তবে তা শেষের দিকে৷ ওই এলাকা থেকে পাইকারি বিক্রেতারা কৃষকদের কাছ থেকে ১২০-১৪০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনছেন৷ তবে বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে এমন কথা বলেননি সেখানকার পাইকারী ব্যবসায়ীরা৷  

কুষ্টিয়ার মেসার্স ইসলামি ভান্ডারের বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘‘দুই দিন বৃষ্টি হয়েছে সে কারণে পেঁয়াজের সরবরাহ কমেনি৷ শেষের দিকে হওয়ায় সরবরাহ কম৷ এখানে আবার এক-দেড় মাস পর নতুন পেঁয়াজ আসবে৷’’
একাধিক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী পেঁয়াজের বাজার নিয়ে ব্যাবসায়ীদের সাথে বৈঠক করেন৷ সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন৷ সেই বৈঠকে পেঁয়াজ সংকট নিয়ে কথা হয়৷ রামজানের বাজার মোকাবেলায় আমদানী এবং করনীয় নিয়েও আলোচনা হয়৷ এই আশংকার কথা সংবাদ মাধ্যমেও প্রকাশ পায়৷ যা ব্যবসায়ীদের ফের পেঁয়াজের দাম বাড়াতে ‘উৎসাহ' জুগিয়েছে বলে ধারণা করছে কেউ কেউ৷

‘চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজ কম’

বৈঠকে উপস্থিত ব্যবসায়ী আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘‘তোফায়েল সাহেব অননেক কথাই বলেছেন৷ চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজতো কম৷ তবে আশা করি সংকট হবেনা৷’’
উল্লেখ্য গত ২৮ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত৷ তারপর থেকে দেশে পেঁয়াজ সংকট শুরু হয়৷ দেশি পেঁয়াজের প্রতি কেজি ২৮০ টাকা পর্যন্ত ওঠে৷

এরপর অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি এবং দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসাতে থাকায় দাম কিছুটা কমতে থাকে৷ দেশি পেঁয়াজের দাম ১১০-১২০ টাকায় নেমে আসে৷