‘এই সরকার সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন দেবে এটা অসম্ভব’
২৪ নভেম্বর ২০২৩বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নির্বাচনে আসন্ন ফলাফল নিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘‘২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ ৩০০ টার মধ্যে ৩০০ টাই পাবে৷ কয়েকটা আসন এদিক ওদিক বিলিয়ে দেবে৷ কিন্তু সেগুলোও তারই আসন৷''
‘‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়” টকশোতে ‘‘নির্বাচনের জন্য আহ্বান, লোভ ও চাপ” বিষয়ক আলোচনায় আলোচক হিসেবে ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল৷
অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ মনে করেন, ‘‘২০১৪-২০১৫ সালের বিধ্বংসী রাজনৈতিক কার্যক্রমের কারণে আজকে জনগণ থেকে বিএনপি বিছিন্ন হয়েছে৷''
২০১৮ সালের নির্বাচন কেমন হয়েছিল? সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘জনগণের ধারণা হলো ২০১৮ সালের নির্বাচন ফেয়ার হয়নি৷ এই নির্বাচন নিয়ে দেশে ও বিদেশে প্রশ্ন বিদ্যমান আছে৷ তবে এখন সরকারের চ্যালেঞ্জ একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা৷”
২০১৮ সালের নির্বাচনের শিক্ষা নিয়ে বিএনপির কি ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়া উচিৎ কিনা এই প্রশ্নের জবাবে হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘‘নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে, বিএনপি আসলেও হবে, না আসলে আরও বেশি হবে৷''
কিন্তু সরকার কেন ভালো নির্বাচন দেবে? সঞ্চালকের এই সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘‘ইতিহাস কখনও পুনরাবৃত্তি হয় না৷ খেলায় প্রতিবার এক কার্ড চালা যায় না৷''
বিএনপির নির্বাচনে না আসার পেছনে কারণ হিসেবে আসিফ নজরুল মনে করেন, ‘‘বিএনপির ৫০ শতাংশ শক্তিশালী নেতা যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়লাভ করতে পারতো, তারা বর্তমানে জেল হাজতে৷''
আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ন্যারেটিভ পরিবর্তন করে ফেলেছে বলে মনে করে আসিফ নজরুল৷
‘‘১৯৯৬ এ আওয়ামী লীগ যখন ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল তখন তাকে আন্দোলন বলা হয়েছে৷ আর বর্তমানে বিএনপির আন্দোলনকে অগ্নিসন্ত্রাস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে,'' যুক্ত করেন তিনি৷
‘‘সরকার ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার কারণে মিডিয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে,'' বলেও মনে করেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল৷
‘‘বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমান দেশে আসলে সরকারের নিপীড়নের শিকার হতে পারেন'' - আসিফ নজরুলের এমন মন্তব্যের জবাবে হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘‘আন্দোলন করতে হলে, নেতৃত্ব দিতে হলে নেতাকে সামনে থকতে হবে৷”
এসএইচ/এআই