ঈদের দিনেও বোমায় বিক্ষত ইরাক ও আফগানিস্তান
৬ নভেম্বর ২০১১বার্তা সংস্থাগুলোর তথ্য মতে, আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের বাঘলান প্রদেশে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়৷ স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে নয়টার দিকে একটি মসজিদের বাইরে এই বোমা হামলা চালানো হয়৷ এই সময় মানুষজন ঈদের নামাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলো৷ আফগান স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বোমা হামলায় অন্তত সাতজন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছে৷ তবে বার্তা সংস্থা এএফপি নিহতের সংখ্যা আট এবং আহতের সংখ্যা অন্তত ২০ বলে জানিয়েছে৷ নিহতদের মধ্যে দুইজন আফগান মিলিশিয়া বাহিনীর সদস্য বলে জানা গেছে৷
এদিকে আত্মঘাতী হামলাকারী ছিল দুই জন৷ এর মধ্যে একজন তার কাছে থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়৷ তবে অন্যজন বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোর আগেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেদিক সিদ্দিকি জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তের পর তাদের মনে হচ্ছে এই হামলার পেছনে তালেবান গোষ্ঠীর হাত রয়েছে৷ তবে এখনও তালেবানের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷ উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে তালেবান গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে আফগানিস্তানে বিদেশি সেনাদের ওপর হামলা অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়৷ তবে এইসব হামলায় যাতে বেসামরিক মানুষ মারা না যায় সেজন্য তাদের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়৷
এদিকে বোমা হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ৷ সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা শুর্জার বাজারে অন্তত তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে৷ এতে ওই বাজারে আগুন ধরে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে৷ এই বোমা হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে৷ আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন৷ তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স নিহতের সংখ্যা আট এবং আহতের সংখ্যা ২৬ বলে জানিয়েছে৷ ঈদ উপলক্ষে গোটা দেশে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ইরাকি সরকার৷ তা সত্ত্বেও এই বোমা হামলা এবং হতাহতের ঘটনা ঘটলো৷ তবে এই বোমা হামলা কীভাবে হয়েছে সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷
উল্লেখ্য, গত ২০০৬ সাল থেকে ইরাকে সহিংসতার মাত্রা কমে আসে৷ তবে সাম্প্রতিক সময়ে আবারও সহিংসতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে৷ মার্কিন বাহিনীর বিদায়ের পর আগামী বছরের শুরু থেকে ইরাকের নিরাপত্তার দায়িত্ব তাদের নিজ বাহিনীর ওপর এসে পড়বে৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই