ইস্তানবুলে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে
৩০ জুন ২০১৬প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান ইস্তানবুল সন্ত্রাসকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে ‘টার্নিং পয়েন্ট' বলে অভিহিত করেছেন৷ একটি জনপ্রিয় জার্মান দৈনিক সংহতি প্রকাশের জন্য আবার তুর্কি ভাষার সহায়তা নিয়েছে৷
মঙ্গলবার রাত্রে তিনজন আত্মঘাতী বোমারু ট্যাক্সিতে চড়ে আতাতুর্ক বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক অংশের বাইরে পৌঁছায়৷ তাদের মধ্যে দু'জন বিমানবন্দরের ভিতরে ঢুকে সুইসাইড বেল্ট ফাটায়৷ এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে আক্রমণকারীরা বিমানবন্দরের নিরাপত্তার বেড়া পার হতে সমর্থ হয়৷ একজন তার বোমাটি ফাটায় ডিপার্চার হলে, দ্বিতীয়জন অ্যারাইভালে, তৃতীয়জন নিজেকে টার্মিনালের বাইরে উড়িয়ে দেয়৷ হতাহতের সংখ্যা আপাতত- নিহত ৪২, আহত ২৩৯৷
নিহতদের মধ্যে ১৩ জন বিদেশি আছেন বলে প্রকাশ৷ এর মধ্যে পাঁচজন সৌদি, দু'জন ইরাকি, এছাড়া চীন, জর্ডান, তিউনিশিয়া, উজবেকিস্তান, ইরান ও ইউক্রেনের নাগরিক৷
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, টার্মিনালের ভিতরে একজন আততায়ী কিভাবে এক পুলিশ অফিসারের গুলিতে মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরও তার বোমাটি ফাটাচ্ছে – গুলি লাগার প্রায় ২০ সেকেন্ড পর৷ তুর্কি দোগান সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, তিনজন নিহত আততায়ীর ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন লাশের ময়ানতদন্ত শেষ হয়েছে এবং তারা সম্ভবত বিদেশি নাগরিক৷ তবে সংবাদ সংস্থাটি এই খবরের কোনো সূত্র জানায়নি৷ আক্রমণের পর দু'দিন কেটে যাওয়া সত্ত্বেও কোনো দল বা গোষ্ঠী এই আক্রমণের দায়িত্ব স্বীকার করেনি৷
বিশ্বের সংহতির কোনো অভাব নেই
প্যারিস, ব্রাসেলসের সঙ্গে ইস্তানবুলের সন্ত্রাসকেও একই পর্যায়ে ফেলা ও দেখা হচ্ছে৷ তবে অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে তুরস্কের রাজনীতি যে তুরস্ককে বিশেষ ঝুঁকির মুখে ফেলেছে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ এমনকি মার্কিন সরকার নাকি সামরিক ও বেসামরিক সদস্যদের পরিবার তুরস্কে নিয়ে যাওয়া স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে চলেছে৷
এসি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)