ইস্তানবুলে হামলার পিছনে আইএস?
২৯ জুন ২০১৬মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ন'টা নাগাদ তিনজন আততায়ী তাদের আক্রমণ শুরু করে৷ একজন আততায়ী টার্মিনালের অভ্যন্তরে একটি সিকিউরিটি চেক-এ বিস্ফোরণ ঘটায়; অপর এক আততায়ী টার্মিনালের বাইরে বোমা ফাটায়; তৃতীয়জন বিস্ফোরণ ঘটায় একটি গাড়ি রাখার জায়গায়৷
তুর্কি প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম মঙ্গলবার রাত্রেই ইস্তানবুল বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন এবং ঘোষণা করেন যে, আতাতুর্ক বিমানবন্দরে আবার বিমান নামতে ও উঠতে পারবে৷ তিনি জানান যে, আততায়ীরা একটি ট্যাক্সিতে করে বিমানবন্দরে আসে ও প্রথমে গুলি চালানোর পর বোমা ফাটায়৷ এক চতুর্থ আক্রমণকারীর পলায়ন সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো খবর নেই, বলে ইলদিরিম জানান৷ তবে নিহতদের মধ্যে কিছু বিদেশি আছেন, বলে তাঁর খবর৷ এই আক্রমণের পিছনে ইসলামিক স্টেট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাত আছে, বলে সন্দেহ করা হচ্ছে – বলেন ইলদিরিম৷
বুধবার সকালে বিমানবন্দরে ক্ষয়ক্ষতির একটা আন্দাজ পাওয়ার চেষ্টা করছেন কর্মকর্তারা৷ বিস্ফোরণের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলা হচ্ছে৷ দেখা যাচ্ছে, টার্মিনালের ছাদের প্যানেলগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ আতাতুর্ক বিমানবন্দরে আক্রমণ ঘটার পর ইস্তানবুল থেকে যুক্তরাষ্ট্র অথবা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইস্তানবুল অভিমুখে উড়াল কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয় – পরে তা আবার চালু করা হয়েছে৷ হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জশ আর্নেস্ট বলেছেন, এ বছরেই আক্রান্ত ব্রাসেলস বিমানবন্দরের মতো ইস্তানবুল বিমানবন্দরও যে সব আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বিভিন্ন দেশকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত রাখে, তার প্রতীক৷ ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটারে মন্তব্য করেছেন, ‘‘আবার একটি সন্ত্রাসী আক্রমণ, এবার তুরস্কে৷ বিশ্ব কি কোনোদিন উপলব্ধি করবে, কী ঘটে চলেছে? খুবই দুঃখের কথা৷''
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি সর্বধর্ম সম্বলিত ইফতারে আমন্ত্রিত ছিলেন৷ তিনি ইস্তানবুল বিমানবন্দরে সন্ত্রাসের খবরে বিমূঢ়তা প্রকাশ করেন ও তুরস্কের সঙ্গে সংহতি জ্ঞাপন করেন৷ জার্মানি সর্বাধিক প্রচারিত ও জনপ্রিয় ট্যাবলেয়ড ‘বিল্ড পত্রিকা তাদের সংহতি জানায় জার্মান ও তুর্কি ভাষায়: ‘‘আমরা ইস্তানবুলে হতাহতদের কথা স্মরণ করছি৷''
এসি/ডিজি (এপি, ডিপিএ)