খরগোশের সঙ্গে কম্পিটিশন!
৩০ মার্চ ২০১৬বেবি, মানে একেবারে কচিকাঁচাদের মধ্যে এমন কিছু একটা আছে, যা আমাদের টানে৷ সেটা একদিকে যেমন তাদের অসহায়তা, অন্যদিকে তেমন তাদের অতি তাড়াতাড়ি নতুন কিছু একটা শিখে নেওয়ার ক্ষমতা৷ বেবিদের শেখার একটা বড় পন্থা হলো, অন্যরা যা করছে, তার নকল করা৷ ভাবটা যেন: তুমি যা করছ, তা আমিও পারি৷
দ্বিতীয়ত, বেবিরা অতিমাত্রায় সাম্যবাদী; তাদের কাছে মানুষ আর জীবজন্তুর মধ্যে বিশেষ কোনো ফারাক নেই৷ ইউটিউবেই কত ভিডিও পাবেন, যেখানে বেবিরা বা শিশুরা পাল্লা দিয়ে কুকুর-বেড়ালের সঙ্গে কম্পিটিশন করে যাচ্ছে৷ আবার কুকুররাও দেখবেন, বেবিরা যা করছে, নির্দ্বিধায় তার নকল করে৷ কখনো-সখনো বেবি যেটা পারছে না – যেমন হামাগুড়ি দেওয়া – বাড়ির পোষা কুকুর সেটা বেবিকে শিখিয়ে দেওয়া চেষ্টা করে!
অর্থাৎ বেবি আর তার ছোট্ট জগতের সঙ্গিসাথি – যেমন বাড়ির কুকুর কিংবা খেলনা – এই দু'পক্ষের মধ্যে অনুকরণ, সহযোগিতা আর প্রতিযোগিতার একটা ত্রিধারা গড়ে ওঠে৷ যেমন আমাদের খাড়াচুল বেবি আর তার ইস্টার খরগোশ খেলনাটির মধ্যে৷ ইস্টারের ‘বানি' – মানে বানি ব়্যাবিট – গান চালিয়ে কান নাড়তে শুরু করলেই, বেবিও হাত নেড়ে তার অনুকরণ বা মোকাবিলা করার চেষ্টা করে৷ তা বেচারার লম্বা লম্বা কান নেই, তো সে কী করবে; হাতগুলো রয়েছে কী করতে? আর আমরা যে বেবির আন্তরিক চেষ্টা দেখে হেসে কুটিপাটি হই, সেটাও তো আমাদেরই বোকামি৷ আমরা হাসছি বলে সে কি শিখবে না? ইস্টার খরগোশ জিতে যাবে?
এসি/ডিজি