ইসলামিক স্টেট-এর লক্ষ্য এবং সাফল্য
১৭ জুন ২০১৫এক বছর আগে ইসলামি খিলাফত কায়েমের লক্ষ্যের কথা বলে ইরাকে হামলা শুরু করেছিল জঙ্গি সংগঠন (আইএস)৷ শুরুতে অপ্রস্তুত, অগোছালো ইরাকি সেনাবাহিনী প্রায় বিনা বাধায় মোসুল ছেড়ে দিয়ে সুন্নিদের জঙ্গি সংগঠনটির অগ্রযাত্রা সহজ করে দিলেও পরে সুসংগঠিত হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে৷ শিয়া আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা তাদের সঙ্গে যোগ দেয়৷ যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আরব বিশ্ব এবং পাশ্চাত্যের কয়েকটি দেশ বিমান থেকে বোমা হামলা শুরু করে আইএস-এর বিরুদ্ধে৷ তারপরও ইরাক এবং সিরিয়ার বেশ বড় একটা অংশ দখলে নিয়েছে আইএস৷ রহস্যটা কী? কোথায় আইএস-এর মূল শক্তি?
অনেক বিশ্লেষকের পর্যবেক্ষণ বলছে, আইএস-এর অগ্রযাত্রার পেছনে ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের অনুগত সেনা কর্মকর্তাদের বড় একটা ভূমিকা রয়েছে৷ ইসলামি জিহাদ বিষয়ক তাত্ত্বিক আবু মোহাম্মদ আল-মাকদিসিও তাঁদের একজন৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, ‘‘ওরা সামরিক ক্ষেত্রে সফল হচ্ছে, কারণ ওদের সঙ্গে বাথ পার্টির কর্মকর্তারা রয়েছে৷ ''
ইরাক এবং সিরিয়ায় এ মুহূর্তে কমপক্ষে ৪০ হাজার যোদ্ধা এবং ৬০ হাজার বাইরে থেকে আসা সমর্থক রয়েছে বলে ধারণা করা হয়৷ মূল যোদ্ধাদের মধ্যে ইরাকে শতকরা ৯০ ভাগই ইরাকি এবং সিরিয়ার রণক্ষেত্রে শতকরা ৭০ ভাগ সিরীয়৷
যুদ্ধে সফল হওয়ার জন্য সাদ্দাম হোসেনের সময়কার ইরাকি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের দক্ষতাকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি ধর্মীয় উন্মাদনাকেও সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে আইএস৷ গত ১৪ মে এক ভাষণে আইএস নেতা আবু বকর আল বাগদাদি বলেছেন, ‘‘ইসলাম কখনো এক দিনের জন্যও শান্তির ধর্ম ছিল না, ইসলাম যুদ্ধের ধর্ম৷'' অধিকাংশ ইসলামি দার্শনিক এবং চিন্তাবিদ ইসলামকে যেখানে সবসময় ‘শান্তির ধর্ম' বলেছেন, সেখানে জঙ্গি সংগঠনের এক নেতার এমন ব্যাখ্যা৷ আইএস কি ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়ানোরও চেষ্টা করছে?
এসিবি/এসবি (রয়টার্স অবলম্বনে)