ইসলাম নিয়ে মত পাল্টালেন জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২৯ নভেম্বর ২০১৮এর আগে গত মার্চ মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ‘বিল্ড’ পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সেহোফার বলেছিলেন, ‘‘ইসলাম জার্মানির অংশ নয়৷’’ এই বক্তব্যের পর তিনি অনেক সমালোচিত হয়েছিলেন৷
তবে বুধবার ‘জার্মান ইসলাম কনফারেন্স’ বা ডিআইকে-র উদ্বোধন করতে গিয়ে সেহোফার বলেন, ‘‘এই দেশের অন্য নাগরিকদের মতো মুসলমানদেরও সমান অধিকার ও দায়িত্ব আছে৷’’ এ ব্যাপারে ‘কোনো যৌক্তিক সন্দেহ’ থাকতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷
জার্মানির মসজিদগুলোকে বিদেশি অর্থ সহায়তার উপর নির্ভরতা কমানোরও আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ প্রার্থনা আয়োজন ও ইমামদের প্রশিক্ষণের খরচ নিজেদেরই জোগাড় করা উচিত বলে মনে করেন তিনি৷ এক্ষেত্রে মুসলমানদের জার্মান সমাজে একীভূত করতে সরকারের যেসব প্রকল্প আছে সেগুলোতে অর্থ সহায়তা বাড়ানো হবে বলেও জানান সেহোফার৷
উল্লেখ্য, জার্মানির বেশিরভাগ মসজিদ তুরস্ক কিংবা সৌদি আরবের মতো দেশের অর্থ সহায়তায় চলে৷
জার্মানির সবচেয়ে বড় ইসলামি সংস্থা ‘ডিটিব’ তুরস্ক সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে৷ এই সংস্থার অধীনে থাকা প্রায় ৯০০ মসজিদ পরিচালনা ও ইমামদের বেতন আসে তুরস্ক থেকে৷
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যিপ এর্দোয়ানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানিতে সমালোচনার মুখে পড়েছে ডিটিব৷ সে কারণে মসজিদগুলোর উপর বিদেশি নিয়ন্ত্রণ কমানোর বিষয়টি এখন আলোচিত হচ্ছে৷
‘জার্মান ইসলাম কনফারেন্স' বা ডিআইকে-তে সাধারণত ইসলামি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নিলেও এবার অন্যদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেহোফার৷ যেমন, সেরান আতেস ও আহমাদ মনসুর৷ এর মধ্যে আতেস বার্লিনে ইবনে রুশদ-গ্যোয়েটে মসজিদ নামে একটি উদারপন্থি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন৷ আর মনসুর ধর্মীয় সহিংসতা নিয়ে নিয়মিত তাঁর মত প্রকাশ করে থাকেন৷ আতেস ও মনসুর দুজনই উদারপন্থি ঘরানার লোক হিসেবে পরিচিত৷
উল্লেখ্য, জার্মানিতে বসবাসরত মুসলমানদের সমাজে ‘ইন্টিগ্রেট’ বা একীভূত করা ডিআইকে-র লক্ষ্য৷ বর্তমানে জার্মানিতে প্রায় ৪৫ লক্ষ মুসলমান বাস করছেন৷
দুদিনব্যাপী এই সম্মেলন বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে৷
জেডএইচ/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)