ইরানে হিজাব আইন সাময়িকভাবে স্থগিত
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪বিতর্কিত হিজাব আইন অমান্যকারীনারীদের জন্য কঠোর শাস্তির প্রস্তাব করা হয়েছিল। ইরানের সংস্কারপন্থি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এই আইনের বিরোধিতা করেছেন।
প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ও দেশের অভ্যন্তরীণ এবং উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক বিরোধিতার কারণে ইরান এই আইনটি আপাতত স্থগিত করেছে।
ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহরাম দাবিরি মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) এক ঘোষণায় জানান, "দেশের শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থা, রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে আইনটি পুনরায় পর্যালোচনা করা হবে। এর আগে আলোচনা করে এই আইনটি আপাতত সংসদের মাধ্যমে সরকারের কাছে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।"
শাহরাম দাবিরি আরো বলেন, "এ মুহূর্তে এই বিল বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।"
ইরানের সংসদে কট্টরপন্থিরা বিতর্কিত আইন পাস করেছিল, যেখানে হিজাব আইন লঙ্ঘনকারী নারীদের জন্য কঠোর শাস্তির প্রস্তাব করা হয়েছিল।
হিজাব ঠিকভাবে না পরার কারণে ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ দেশটির নৈতিক পুলিশ মাশাহ আমিনি (২২)-কে গ্রেপ্তার করেছিল। পুলিশি হেফাজতে মাহশা আমিনির মৃত্যুর পর দেশজুড়ে ব্যাপক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনের পর থেকে প্রতিবাদ হিসেবে ইরানের অনেক নারী বাধ্যতামূলক হিজাব পরিধানের নিয়মগুলিকে এড়িয়ে চলছেন।
এসএইচ/এসিবি (এপি, ডিপিএ)