জাতিসংঘ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১২শুরুটা করেছিলেন বারাক ওবামা৷ জাতিসংঘের সাধারণ সম্মেলনে নিজের ভাষণের এক পর্যায়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ইরান যাতে আনবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে যত কঠোরই হতে হয়, হবেন তিনি৷ তাঁর এ হুমকির জবাবটা খুব আক্রমনাত্মক ভাষাতেই দিযেছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ৷ তবে কথার ঝাঁঝ আর নাটকীয়তায় দুজনকেই ছাড়িয়ে গেলেন বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু৷ বৃহস্পতিবার ভাষণ দিতে গিয়ে ইসরায়েলের প্রধামমন্ত্রী লাল মার্কার পেনকে ব্যবহার করেছেন তুলির মতো৷ এঁকেছেন বোমার ছবি৷ প্রচার মাধ্যম বলছে সে ছবি নাকি ওয়ার্নার ব্রাদার্সের রেডরানার কার্টুনের কথা মনে করিয়ে দেয়৷
ইসরায়েলের প্রচারমাধ্যমের একাংশ এর মাঝেই দেখছে নেতানিয়াহুর কারিশমা৷ তাচ্ছিল্যভরে গুরুতর একটি বিষয় সবার সামনে তুলে ধরার দক্ষতা৷ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বোমা এঁকে, লাল একটা রেখা টেনে বোঝাতে চেয়েছেন ইরান দিন দিন শান্তিপ্রিয় মানুষের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠছে৷ শিগগিরই দেশটিকে রুখতে হবে৷ অর্থাৎ উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশটি যাতে কোনোভাবই আনবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে৷ নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরান ইউরেনিয়ামে পর্যাপ্ত সমৃদ্ধি অর্জনের পথে ৭০ ভাগ এগিয়ে গেছে৷ ৯০ ভাগ পর্যন্ত যাওয়া মাত্রই তাদের থামাতে হবে, না থামালে সমূহ বিপদের আশঙ্কা৷ ইরানকে আল-কায়েদার সঙ্গে তুলনা করে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘ইরানের আনবিক বোমা থাকা আর আল কায়েদার কাছে থাকা একই কথা৷'
এদিকে প্রত্যাশিতভাবেই নেতানিয়াহুর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ইরান৷ সে দেশের জাতিসংঘ দূত ইসরায়েলকেই উল্টো সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রের আখ্যা দিয়েছেন৷ ইরান খুব শিগগিরই আনবিক বোমা তৈরি করে ফেলবে - নেতানিয়াহুর এ আশঙ্কাকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি৷ ইসরায়েল সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, ‘‘রাষ্ট্রটির প্রতিষ্ঠার ভিত্তিই সন্ত্রাসবাদ৷ বিশ্বে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রের ধারণার জন্মদাতাই ওরা৷’’ ইউরেনিয়ামের ব্যাপারে ইরানের দেয়া তথ্য খুবই নিরাপদ৷ দেশটি বলে আসছে চিকিৎসা বিষয়ক গবেষণার জন্য যে মানের ইউরেনিয়াম তার চেয়ে বেশি কিছু তাঁদের দরকার নেই, সেদিকে তাঁরা এগোচ্ছেওনা৷
এসিবি/ডিজি (এএফপি)