আইএইএ’র বিরুদ্ধে ইরানের তথ্য পাচারের অভিযোগ
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১২পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমা গোষ্ঠীর সাথে বেশ দীর্ঘ সময় ধরেই টানাপোড়েন চলছে তেহরানের৷ এবার তেহরান এক নতুন অভিযোগ তুলেছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ-র প্রধান ইয়ুকিয়া আমানোর বিরুদ্ধে৷ ইরানি সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা এবং পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক পরিষদের সদস্য জাভেদ জাহাঙ্গিরজাদেহ বলেছেন, ‘‘আমানোর ঘন ঘন তেলআবিব সফর এবং ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতামত জানতে চাওয়ার অর্থ দাঁড়ায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য ইসরায়েল এবং অন্যান্য শত্রু দেশের কাছে প্রকাশ করা হয়েছে৷ সংস্থাটির এমন কর্মকাণ্ডের কারণে যদি ইরান তাদের সাথে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ছিন্ন করে সেক্ষেত্রে এর সকল দায়দায়িত্ব সংস্থাটির প্রধানকেই বহন করতে হবে৷''
ইরানের প্রেস টিভি'তে সাংসদ জাহাঙ্গিরজাদেহর এমন বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে৷ এর আগে গত সপ্তাহে ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান ফেরেদুন আব্বাসি দাভানি অভিযোগ তোলেন যে, তাদের ভাষায় ‘সন্ত্রাসীরা' ভিয়েনা ভিত্তিক আণবিক শক্তি সংস্থার কাছে থেকে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির গোপন তথ্য পেয়ে থাকতে পারে৷ তবে পশ্চিমা কূটনীতিকরা তেহরানের এমন বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, ইরান তাদের পরমাণু স্থাপনায় আইএইএ-র প্রবেশগম্যতা থেকে দৃষ্টি ফেরাতেই এমন কথাবার্তা বলছে৷
এদিকে, ইরানের অপর সাংসদ আলাদিন বোরুজেরদি অভিযোগ তুলেছেন জার্মান প্রযুক্তি সংস্থা সিমেন্স এর বিরুদ্ধে৷ তিনি বলেছেন, ‘‘ইরানের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনী পরমাণু স্থাপনার জন্য সরবরাহ করা যন্ত্রপাতিতে বিস্ফোরক থাকার বিষয়টি চিহ্নিত করেছেন৷ এসব যন্ত্রপাতি আমাদের স্থাপনায় ব্যবহার করা হলে বিস্ফোরণ ঘটতো৷ আমাদের নিজস্ব বিশেষজ্ঞরা শত্রুদের এই প্রচেষ্টা নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়েছে৷ তবে এসব যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিমেন্স'কে এজন্য জবাবদিহি করতে হবে৷ অবশ্য সিমেন্স তেহরানের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷
অন্যদিকে, আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার জন্য প্রায় ২০ ইরানি কর্মকর্তার মার্কিন ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ৷ ইরানি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদ এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন এবং দু'টি অধিবেশনে বক্তৃতা করবেন৷ তবে তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে অ্যামেরিকা যাওয়ার জন্য প্রায় ১৬০ কর্মকর্তার ভিসার আবেদন করা হয়েছিল৷ এগুলোর মধ্যে দুই মন্ত্রীসহ ২০ জনের ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ফার্স৷
এএইচ / এআই (এপি, এএফপি, রয়টার্স)