ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে ‘চড়' মেরেছে: খামেনি
১৭ জানুয়ারি ২০২০এই হামলা সুপারপাওয়ার হিসেবে ‘যুক্তরাষ্ট্রের ইমেজের ক্ষতি' করেছে বলেও মন্তব্য করেন খামেনেই৷ তিনি বলেন, ‘‘এমন এক বিশ্ব শক্তিকে ইরানের চড় মারার ক্ষমতা আল্লাহর হাতেরই নিদর্শন৷'' খামেনি বক্তব্যের সময় উপস্থিত সবাই ‘অ্যামেরিকার মৃত্যু' বলে স্লোগান দিতে থাকেন৷
৩ জানুয়ারি ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানি জেনারেল কাসিম সোলাইমানি নিহত হন৷ এরপর ৮ জানুয়ারি ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি লক্ষ্যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান৷
খামেনেই বলেন, তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকর কমান্ডার ছিলেন সোলাইমানি৷ তাঁকে ‘ভীরুর' মতো হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, বলেন তিনি৷
এদিকে, ১১ জানুয়ারি ইরানের হামলায় ইউক্রেনের বিমান ধ্বংসের ঘটনাকে ‘করুণ' বলে আখ্যায়িত করেন খামেনি৷ ঐ হামলায় ১৭৬ জন প্রাণ হারান, যাদের অধিকাংশই ইরানি ছিলেন৷ দুর্ঘটনার তিনদিন পর ইরানের সামরিক বাহিনী ‘ভুল করে' যাত্রীবাহী বিমানে হামলার কথা স্বীকার করে৷ এরপর সে দেশে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেন৷ খামেনি তাঁর খুতবায় জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন এবং বিমানে হামলার মতো ঘটনা যেন ভবিষ্যতে এড়ানো যায় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান৷
বিমানে হামলার কথা স্বীকারের পর ইরানে শুরু হওয়া বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প৷ খুতবায় ট্রাম্পকে ‘ক্লাউন' বলে আখ্যায়িত করে খামেনেই বলেন, তিনি শুধু ইরানিদের সমর্থন দেয়ার ভান করেন, কারণ শেষে গিয়ে তিনি তাদের পেছনে ‘বিষাক্ত ছোরা' মারবেন৷
ইরান চুক্তি নিয়ে চলমান বিতর্কে ইউরোপীয় দেশগুলোকে বিশ্বাস করা যায় না, বলেও মন্তব্য করেছেন খামেনেই৷ ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে চুক্তি করেছিল ইউরোপ ও অ্যামেরিকার কয়েকটি দেশ৷ গত বছর সেই চুক্তি থেকে সরে যায় যুক্তরাষ্ট্র৷ এরপর ইউরোপীয় দেশগুলো চুক্তি বাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে৷
এর আগে ২০১২ সালে শেষবার জুম্মার খুতবা দিয়েছিলেন খামেনি৷ সেই সময় তিনি ইসরায়েলকে ‘ক্যানসারাস টিউমার' বলে আখ্যায়িত করেছিলেন৷ এছাড়া পরমাণু কর্মসূচির কারণে ইরানের ওপর হামলা না করতে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন তিনি৷ হামলা হলে ‘দশ গুণ বেশি' হামলা হবে বলেও মন্তব্য করেছিলেন খামেনি৷
জেডএইচ/কেএম (এপি, রয়টার্স, এএফপি)