ইরান চুক্তি নিয়ে বেকায়দায় ওবামা
৭ আগস্ট ২০১৫বারাক ওবামাকেও এখন এই শঙ্কা পেয়ে বসছে৷ গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য পাঁচ বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়৷ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ওবামার জন্য এটি খুব বড় সাফল্য৷ কিন্তু দেশে এই চুক্তি নিয়ে তিনি শক্ত বিরোধিতার মুখে পড়েছেন৷
বিরোধী রিপাবলিকানরা শুরু থেকেই বলে আসছেন, ইরান চুক্তি তারা সমর্থন করেন না, করবেন না৷ ইসরায়েল এ চুক্তির বিষয়ে ইরানের আন্তরিকতা নিয়ে সন্দেহ পোষন করে আসছে৷ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসেও ইরান চুক্তির বিরোধিতা করে ভাষণ দিয়েছেন৷ তাতে ওবামা প্রশাসনের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কের টানাপোড়েনটা খুব স্পষ্ট হয়েছিল৷ এবার ইরান চুক্তি নিয়ে ওবামার দলের সাংসদরাও বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন৷ এ পর্যন্ত অন্তত দু'জন ডেমোক্র্যাট নেতা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেসে তাঁরা ইরান চুক্তির বিরুদ্ধে, অর্থাৎ ‘হ্যাঁ' ভোটই দেবেন৷
বৃহস্পতিবার ডেমোক্র্যাট সেনেটর চাক শুমার জানান, আগামী সেপ্টেম্বরে কংগ্রেসে ইরান চুক্তির বিরোধিতা করে যে প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে, তিনি তাতে সমর্থন জানাবেন৷ দলের আরেক প্রভাবশালী নেতা এলিয়ট এনজেলও জানিয়েছেন, তিনি আলোচনার মাধ্যমেই ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি থেকে দূরে রাখার পক্ষে, তবে ইরান চুক্তি সে নিশ্চয়তা দিতে অক্ষম৷ প্রসঙ্গত, ডেমোক্র্যাট দলের এই দুই নেতাই ইহুদি৷ দু'জনই মনে করেন, ইরানকে বিশ্বাস করা যায় না, চুক্তিতে যা-ই বলুক, ইরান ঠিকই পরিকল্পনা মতো পারমাণবিক অস্ত্র বানাবে৷
এদিকে কংগ্রেসে যাতে দুই-তৃতীয়াংশ সাংসদের সমর্থন আদায় করে চুক্তিটি পাশ করানো যায়, সে চেষ্টা করে যাচ্ছেন বারাক ওবামা৷ বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, ইরান চুক্তি না হলে মধ্যপ্রাচ্যে আরো বড় পরিসরে যুদ্ধ শুরু হতে পারে৷ সে আশঙ্কা থেকে দূরে থাকা এবং বিশ্বশান্তির পক্ষে অবস্থান সুদৃঢ় করার পক্ষে যু্ক্তি দেখাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ইরান চুক্তির শর্ত অনুযায়ী কাজ না করলে তার বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থাও নেয়া যেতেই পারে, তবে তার আগে সম্পাদিত চুক্তিটিকে সফল করার চেষ্টা অব্যাহত রাখা উচিত৷
এসিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)