1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইন্টারনেটের ব্যবহার শিশুদের যৌন নিপীড়ন বাড়াচ্ছে!

২১ অক্টোবর ২০১৭

ইন্টারনেট ব্যবহারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিশু যৌন নিপীড়ন৷ বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই প্রবণতা প্রবল৷ থাইল্যান্ডে আয়োজিত এক সম্মেলনে এমনটিই বলেন বিশেষজ্ঞরা৷ বলেন, শিশুরাও এই প্রবণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে৷

https://p.dw.com/p/2mEXG
Symbolbild Kinderpornografie im Darknet
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Nissen

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে আয়োজিত এ সম্মেলনে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রধান নিল ওয়ালশ বলেন, ‘‘অনলাইনে শিশু নিপীড়ন ক্রমাগত বাড়ছে৷'' আর এর জন্য মূলত প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধিকেই দায়ী মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷

সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে ইন্টারনেট সেবার বিস্তার এবং ব্যবহার দ্রুত গতিতে বাড়ছে৷ ফিলিপাইন্সে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আঞ্চলিক পর্যায়ে ইন্টারনেট প্রাপ্যতা শতকরা ৫০ ভাগ থেকে বেড়ে ৫৮ ভাগ হয়েছে৷ থাইল্যান্ডে বেড়ে হয়েছে শতকরা ৬৭ ভাগ৷

এর পাশাপাশি যা লক্ষ্যণীয়, তা হলো, অনলাইন দুনিয়ায় শিশুদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি৷ অনেক শিশুই অনলাইনে নিজেদের ফুটেজ শেয়ার করছে৷ কখনো স্বেচ্ছায়, কখনো অন্যের প্ররোচনায়৷ পরে সেই ফুটেজ ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুদের বিরুদ্ধেই৷

অস্ট্রেলীয় পুলিশের যৌন নিপীড়নবিরোধী ইউনিট ‘টাস্কফোর্স আরগোস'-এর কর্মকর্তা জন রাউজ৷ তিনি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংককে ৩ হাজার ৬০০ ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সেগুলো থেকে নিয়মিতই শিশু নিপীড়নের ছবি বা ভিডিও শেয়ার করা হয়

এর আগে গত আগস্টে এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘ জানায়, মেকং অঞ্চলে শিশুদের দিয়ে যৌন নিপীড়নের লাইভ স্ট্রিমিং করানোর চাহিদা বাড়ছে৷ সেখানে আরো বলা হয়, অনলাইনে ব্যাপক যৌন নিপীড়নের জন্য পরিচিত ফিলিপাইন্স থেকে এ প্রবণতা থাইল্যান্ডের দিকে ছড়িয়ে পড়ছে৷ ২০১৬ সালের আরেক প্রতিবেদনে জাতিসংঘ জানিয়েছিল, ফিলিপাইন্সে অনেক বাবা-মা-ও দারিদ্র্যের কারণে শিশু সন্তানদের যৌনমিলনের দৃশ্য ‘লাইভ' করেন৷

সম্মেলনে নিল ওয়ালশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘আমরা যদি বলি সংকট থেকে দূরে আছি, তাহলে অন্যায় করা হবে৷''  

এসিবি/ডিজি (রয়টার্স)