ইটালিতে টহল শুরু
১৬ অক্টোবর ২০১৩সমুদ্রে চোরাচালানকারী এবং অন্য দেশ থেকে আগত আশ্রয়প্রার্থী অভিবাসীদের ভয় দেখাতে মঙ্গলবার থেকে ভূমধ্যসাগরে টহল শুরু করেছে ইটালি৷ সেই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে চালকবিহীন বিমান বা ড্রোন, যেগুলো সমুদ্রে ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহী নৌকাগুলোকে সনাক্ত করবে৷
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আঞ্জেলিনো আলফানো জানিয়েছেন, এ মাসে দু-দুটি নৌকাডুবির ঘটনার পর সোমবার প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী এনরিকো লেটা৷ তিনি জানান, অপারেশন ‘মেয়ার নস্ট্রাম'-কে এই টহলের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে৷
প্রতিরক্ষামন্ত্রী মারিও মাওরো জানিয়েছেন, ইটালির দক্ষিণাঞ্চলের সমুদ্রসীমায় পাঁচটি যুদ্ধজাহাজ স্থাপন করা হয়েছে, যার একটির ‘ডক'-এ শরণার্থীদের জন্য জায়গা রাখা হয়েছে৷
জানা গেছে, এরই মধ্যে ভূমধ্যসাগরে তিনটি নৌ-যান টহল দিচ্ছে, যার সাথে আছে ছয়টি কোস্ট গার্ড পেট্রোল বোট এবং ছয়টি বর্ডার গার্ড পেট্রোল বোট৷ টহল দিচ্ছে বিমান ও হেলিকপ্টারও৷ মাওরো জানান, সমুদ্রে যাঁরা বিপদে পড়বেন তাঁদের উদ্ধারের লক্ষ্যেই এই অভিযান৷
এছাড়া রাতে কাজ করার ক্ষমতা সম্পন্ন আরো দুটি গোয়েন্দা বিমান এই টহল অভিযানে যুক্ত করা হচ্ছে৷ প্রধানমন্ত্রী এনরিকো লেটা জানান, এটা খুবই দুঃখজনক যে ভূমধ্যসাগর একটি মৃত্যুর সাগরে পরিণত হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, ৩রা অক্টোবর ইটালি ও পার্শ্ববর্তী দেশ মাল্টার মধ্যবর্তী সমুদ্রসীমায় এক নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে৷ এতে ৩৬ জন সিরীয় শরণার্থী নিহত হয়৷
এর সপ্তাহখানেক আগে ইটালির লাম্পেডুসা দ্বীপ সংলগ্ন সমুদ্রসীমায় বড় ধরনের নৌকাডুবিতে ৫০০ অভিবাসীর মধ্যে ৩৬৪ জন নিহত হন৷
ইটালি এর আগে এই অভিবাসীদের ঠেকাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাহায্য চেয়েছিল৷ সাম্প্রতিক নৌযান দুর্ঘটনায় ব্যাপক প্রাণহানির পর আবারো ইইউ-র সহায়তা চেয়েছে ইটালি৷
জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, এ বছর ইটালি ও মাল্টায় ৩২ হাজার শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে, যাদের বেশিরভাগই এরিত্রিয়া, সোমালিয়া ও সিরিয়া থেকে এসেছে৷
প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ২৪ ও ২৫ তারিখে অনুষ্ঠেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্মেলনের জন্য এখন অপেক্ষায় আছেন তাঁরা৷ আশা করছেন, ভূমধ্যসাগরে সাম্প্রতিক সময়ে দুর্ঘটনা এবং ইউরোপের অভিবাসী নীতি নিয়ে সেখানে আলোচনা হবে৷
এপিবি/ডিজি (এএফপি/ডিপিএ)