ইউরোপের ক্লাবের হালখাতা
৭ জুন ২০১৩লন্ডনের ডেলয়েট অ্যাকাউন্টিং ফার্মটির জরিপ বলছে, ২০১১-১২'র মরশুমে টপ ক্লাবগুলোর মোট রোজগার ছিল ৯৩০ কোটি ইউরো৷ ‘‘বিগ ফাইভ'' লিগগুলোতে খেলোয়াড়দের মাইনে বেড়েছে, কিন্তু মোট আয়ের অনুপাতে নয় – যার অর্থ, ক্লাবগুলির সামগ্রিক আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটেছে৷
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো সবচেয়ে বেশি আয় করেছে: ২৯০ কোটি ইউরো, যা কিনা তার আগের মরশুমের চেয়ে ১৬ শতাংশ বেশি৷ তার পরেই আসছে জার্মানি: ১৯০ কোটি ইউরো৷ তারপর স্পেন: ১৮০ কোটি ইউরো৷
মুনাফার হিসেবে সবার উপরে ছিল জার্মান বুন্ডেসলিগা, যার একটা কারণ হল এই যে, খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক খাতে বুন্ডেসলিগার ক্লাবগুলোর ব্যয় মোট আয়ের মাত্র ৫১ শতাংশ, ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রে যা ৭০ শতাংশ, ইটালির ক্ষেত্রে আরো বেশি: ৭৫ শতাংশ৷ জার্মানির ওপরদিকের ক্লাবগুলোর ব্যবসায়িক মুনাফা ছিল ১৯ কোটি ইউরো৷ ইউরোপের টপ লিগগুলোর মধ্যে একমাত্র ইংল্যান্ডই সামগ্রিকভাবে ব্যবসায়িক মুনাফা দেখাতে পেরেছে: ১২ কোটি ইউরোর কিছু বেশি৷
২০১৩-১৪'র মরশুমে জার্মানি আর ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলো তাদের আয় কিছুটা বাড়াতে পারবে বেতার ও টেলিভিশন সম্প্রচার থেকে আরো বেশি অর্থাগমের আশা আছে বলে৷ আবার ঠিক এই মরশুম থেকেই উয়েফা'র নতুন আর্থিক নিয়মাবলী চালু হবে, যা অনুযায়ী কোনো ক্লাবকে চ্যাম্পিয়নস লিগ কিংবা ইউরোপা লিগে খেলতে হলে, তাদের ব্যয়ের পরিমাণ আয়ের পরিমাণকে ছাড়ালে চলবে না৷
এসি/এসবি (এপি)