ইউরোজোনে গ্রিসের ভবিষ্যৎ নিয়ে বৈঠক
১৮ জুন ২০১৫আন্তর্জাতিক দাতাদের সঙ্গে গ্রিসের আলোচনা এখনও পর্যন্ত একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সমর্থ না হওয়ায় ইউরোপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এখন প্রকাশ্যেই ইউরোজোন থেকে গ্রিসের বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলছেন৷
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল অবশ্য এ চুক্তির ব্যাপারে এখনও তাঁর আশার কথা শুনিয়েছেন৷ তবে এক্ষেত্রে গ্রিসকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে বলে জানান তিনি৷ বৃহস্পতিবার লুক্সেমবুর্গে ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকের আগে এই মন্তব্য করেন ম্যার্কেল৷
গ্রিসের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আইএমএফ এর বৈঠকে কয়েকটি বিষয় নিয়ে মতানৈক্য চলছে৷ দাতারা চাইছেন গ্রিসের পেনশন ব্যবস্থায় সংস্কার আনতে, অর্থাৎ পেনশনের অর্থ কমাতে৷ কিন্তু গ্রিস তাতে রাজি নয়৷ গ্রিক প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাস সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সে কথা৷ উলটো তিনি ইইউ নেতাদের সতর্কবাণী শুনিয়ে দিয়েছেন৷ বলেছেন, ইউরোপ যদি পেনশন কমানোর প্রস্তাব থেকে সরে না আসে তাহলে যে ঘটনা ঘটবে তাতে ইউরোপের কেউই লাভবান হবে না৷ অর্থাৎ তিনি বলতে চেয়েছেন, দাতারা যদি পেনশন সংস্কারের প্রস্তাবে অটল থাকে তাহলে হয়ত কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে না৷ সেক্ষেত্রে গ্রিস ইউরোজোন থেকে বেরিয়ে যেতে পারে৷ এতে করে ইউরোপের কেউই লাভবান হবে না৷
গ্রিসের বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে জার্মানির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান বলেন, ‘‘এর ফলে হয়ত ইউরোজোনের বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন আসবে, কিন্তু এতে ইউরোজোন ধ্বংস হয়ে যাবে না৷''
উল্লেখ্য, চলতি মাসের মধ্যেই গ্রিসকে আইএমএফকে ১.৬ বিলিয়ন ইউরো ফেরত দিতে হবে৷ আর পরবর্তী দুই মাসে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দিতে হবে ৬.৭ বিলিয়ন ইউরো৷ এই লক্ষ্যে দাতাদের কাছ থেকে বেইলআউট প্যাকেজের শেষ কিস্তি (৭.২ বিলিয়ন ইউরো) পেতে আলোচনা করছে গ্রিস৷ কিন্তু দাতাদের দেয়া সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারছে না গ্রিস৷ লুক্সেমবুর্গের বৈঠকে অর্থমন্ত্রীরা আবারও সেই চেষ্টাই করবেন৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)