জার্মান শ্রম বাজারে ছছল-বছল
১০ জানুয়ারি ২০১৫বলতে কি, গত বছরের শেষ তিন মাসের প্রতিমাসেই জার্মানিতে বেকারের সংখ্যা কমেছে, ফেডারাল শ্রম সংস্থার পরিসংখ্যান থেকেই তা দেখা গেছে৷ তবে ডিসেম্বরে যেভাবে বেকারত্ব কমেছে, তা এর আগে কোনো ডিসেম্বরে এভাবে কমতে দেখা গেছে একমাত্র ১৯৯১ সালে৷ মরশুম অনুযায়ী সংশোধন করে নেওয়া পরিসংখ্যান বিশ্লেষকদের সব প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে, কেননা বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা ছিল, ডিসেম্বরে বেকারদের সংখ্যা কমবে মাত্র পাঁচ হাজার৷
ফেডারাল শ্রম দপ্তরের প্রধান ফ্রাংক-ইয়ুর্গেন ভাইজে বলেছেন: ‘‘দুর্বল অর্থনৈতিক প্রেরণা সত্ত্বেও শ্রম বাজারের ইতিবাচক বিকাশ ঘটেছে৷'' বেকারত্বের হার বিগত বিশ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে: ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশ; বেকার ভাতা ভোগীদের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৮ লক্ষের কিছু বেশিতে৷
কিন্তু ইউরো এলাকা?
অপরদিকে ইউরো এলাকার অর্থনৈতিক নিরাময় প্রক্রিয়া আজও কিছুটা রক্তশূন্য হলেও, বেকারত্বের হার আপাতত বাড়ছে না৷ ইইউ-এর পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট বলছে, অগাস্ট থেকে সেপ্টেম্বর অবধি ইউরো এলাকায় বেকারত্বের হার ১১ দশমিক পাঁচ শতাংশেই আটকে রয়েছে৷ তবে যুব বেকারত্বের হার কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক সাত শতাংশে – অর্থাৎ ২৫ বছরের নীচে ৩০ থেকে ৪০ লাখ মানুষ ইউরো এলাকায় কর্মহীন ছিলেন৷
অপরদিকে জার্মানি গ্লোবালাইজেশন বা বিশ্বায়নের প্রক্রিয়া থেকে লাভবান হয়েছে৷ ২০০৭ সাল যাবৎ জার্মানির ওয়ার্কফোর্স অর্থাৎ শ্রমিক সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ছয় শতাংশ বা ২৩ লাখ৷ ঠিক ঐ একই সময়ে ইউরো এলাকার অপরাপর দেশগুলি হারিয়েছে ৩৮ লাখ চাকুরি৷ শুধু এর্নস্ট অ্যান্ড ইয়াং কনসাল্টেন্সি-র জরিপেই নয়, ফেডারেশন অফ জার্মান ইন্ডাস্ট্রিজ-এর প্রেসিডেন্ট উলরিশ গ্রিলো জার্মানিকে ‘‘বিশ্বায়ন বিজয়ী'' বলে ঘোষণা করছেন৷ এর একটি ফল হয়েছে জার্মানিতে চাকুরিসন্ধানী বিদেশি-বহিরাগতদের আগমন – যার ফল আবার জার্মান সমাজের পক্ষে সুদূরপ্রসারী হতে পারে৷
এসি/ডিজি (ডিপিএ, রটার্স, এএফপি)