ইউক্রেনকে আরো অস্ত্র দিচ্ছে পশ্চিম
২০ এপ্রিল ২০২২তিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানই জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব, নতুন অস্ত্র ইউক্রেনের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। বস্তুত, ইউক্রেনে এখনো অ্যামেরিকার বিপুল পরিমাণ অস্ত্র যাচ্ছে। অস্ত্রবোঝাই চারটি বিমান ইউক্রেনে পৌঁছে গেছে। পঞ্চম বিমানটি দিনকয়েকের মধ্যেই নামবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগেই ঘোষণা করেছিলেন, ইউক্রেনকে ৮০০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র পাঠানো হবে। সেই অস্ত্র ইউক্রেনে পৌঁছাতে শুরু করে দিয়েছে।
রাশিয়া নতুন করে পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে। একের পর এক গোলাবর্ষণ চলছে সেখানে। রাশিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ওই অঞ্চল ভারী গোলাবর্ষণ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের আর্টিলারি সাহায্য প্রয়োজন বলে মনে করেছেন ক্যানাডা এবং যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রপ্রধান। সে কারণে এবার ওই ধরনের অস্ত্র ইউক্রেনের হাতে তুলে দেওয়ার কথা তারা ভেবেছেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে, বেলজিয়ামও ইউক্রেনকে নতুন করে অস্ত্রসাহায্যের পরিকল্পনা করেছে।
রাশিয়ার অবস্থান
যুক্তরাজ্যের সামরিক বাহিনীর দাবি, কিয়েভ দখল করতে না পারায় রাশিয়ার সেনা পূর্ব ইউক্রেনে নতুন কৌশলে যুদ্ধে নেমেছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তাদের কৌশল সফল হয়নি। তারা লাগাতার গোলাবর্ষণ চালিয়ে গেলেও যতটা এগতে পারবে ভেবেছিল, ততটা পারেনি। কারণ, ইউক্রেন কঠিন প্রতিরোধ তৈরি করেছে। রাশিয়ার বাহিনী সেই প্রতিরোধ ভেঙে খুব বেশিদূর এগতে সফল হয়নি।
পেন্টাগনের বক্তব্য
পেন্টাগনও জানিয়েছে, রাশিয়া যতটা ঢুকে পড়বে ভেবেছিল, ততটা পারেনি। মূল লড়াই এখনো সীমান্তেই হচ্ছে। পেন্টাগনের বক্তব্য, গত প্রায় দুই মাসে রাশিয়ার সেনার প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। আগের চেয়ে তাদের শক্তি অন্তত ২৫ শতাংশ কমে গেছে। এবং সে কারণেই পূর্ব ইউক্রেনে তারা নতুন কৌশল নেওয়ার চেষ্টা করেছে। যেভাবে তারা সর্বশক্তি দিয়ে কিয়েভে আক্রমণ চালিয়েছিল, সেভাবে পূর্ব ইউরোপে তারা লড়ছে না। কিন্তু ভূপ্রকৃতি এবং আবহাওয়ার সঙ্গে তারা এখনো খাপ খাইয়ে নিতে পারছে না। সেটাও রাশিয়ার বাহিনীর ব্যর্থতার অন্যতম কারণ।
বাইডেন যাচ্ছেন না
মঙ্গলবারও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, আজ না হোক কাল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনে যাবেন। কিয়েভে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে আসবেন। মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে জো বাইডেন জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ইউক্রেনে যাওয়ার কথা ভাবছেন না তিনি। নিরাপত্তার কারণেই তার পক্ষে এখন যওয়া সম্ভব নয় বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে তার জায়গায় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পাঠানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বাইডেন। কিয়েভে যেতে পারেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তবে কোনো কিছুই এখনো স্পষ্ট নয়।
নেটফ্লিক্সের দুর্দশা
রাশিয়া থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল নেটফ্লিক্স। মঙ্গলবার তারা জানিয়েছে, তাদের ওই পরিকল্পনার জন্য বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। রাশিয়ায় তারা প্রায় সাত লাখ ক্রেতা হারিয়েছেন। নেটফ্লিক্সের দাবি, এবছর দুই দশমিক পাঁচ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর কথা ভেবেছিল তারা। কিন্তু তার বদলে উপভোক্তা কমেছে তাদের। যার ফলে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)