1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রুশ সেনা চাপে ফেলছে ন্যাটোকে

১৬ নভেম্বর ২০২১

রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনার উপস্থিতি চিন্তায় ফেলছে জার্মানিসহ ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রদের৷ ২০১৪ সালের পরিস্থিতি ফিরে আসবে কি না, সে আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/434LQ
Ukraine | Internationale Manöver „Rapid trident“ im Jahr 2019 in Yavoriw
ফাইল ফটোছবি: U.S. Army/Kyle Larsen

সোমবার ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল ইয়েনস স্টোলটেনবের্গ ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সামরিক উপস্থিতি বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷ যদি কিয়েভের ওপর কোনো আঘাত আসে, সেক্ষেত্রে ন্যাটো ইউক্রেনের পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি৷

ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডিমিত্রো কুলেবার সাথে সাক্ষাতের পর স্টোলটেনবের্গ বলেন, ‘‘ন্যাটো এই মুহূর্তে সতর্ক রয়েছে৷ আমরা খুব গভীরভাবে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি৷ যদি রাশিয়ার তরফে কোনো উসকানি বা আগ্রাসী পদক্ষেপ দেখা যায়, সেক্ষেত্রে তা গুরুতর ফলাফল বয়ে আনবে৷ আমরা রাশিয়াকে আহ্বান জানাচ্ছি নিজেদের সামরিক কর্মকাণ্ড বিষয়ে আরো স্বচ্ছ হতে৷''

ইউক্রেনের বয়ান অনুযায়ী, রাশিয়ার সাথে দেশটির সীমান্তে বর্তমানে মোতায়েন আছে প্রায় এক লাখ রুশ সামরিক বাহিনীর সদস্য, যা ‘বিপজ্জনক' দিকে যেতে পারে বলে মনে করছেন স্টোলটেনবের্গ৷

এবিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘অস্বাভাবিক হারে সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে সেখানে৷ আমরা জানি যে, রাশিয়া এর আগেও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে এই ধরনের আগ্রাসী সামরিক পদক্ষেপ নিতে চেয়েছে৷''

একজোটে জার্মান, ফরাসি ইউক্রেনের নেতৃত্ব

ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের পর দেশটির পক্ষে তাদের অবস্থান ঘোষণা করে জার্মান ও ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা একটি যৌথ বিবৃতি দেন৷ ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক৷

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘ইউক্রেনের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রশ্নে ফ্রান্স ও জার্মানি তাদের সমর্থন অক্ষুণ্ণ রাখবে৷''

পাশাপাশি, রাশিয়াকে তার সামরিক আচরণে রাশ টানতেও বলে এই বিবৃতি৷

সোমবার জার্মান পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র ক্রিস্টোফার বুর্গার সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘যে পরিস্থিতি ইতোমধ্যে জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে, তাকে আরো গুরুতর না করতে রাশিয়াকে সামরিক নিয়ন্ত্রণ দেখাতে আহ্বান জানাচ্ছি আমরা৷''

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মুখপাত্রও ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেন৷ পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলির ধারণা, ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া দখলের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে সাম্প্রতিক এই সামরিক অভিযানের ফলে৷ নতুন করে ইউক্রেনের মাটিতে রুশ সেনার প্রবেশ ঘটতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা৷

এসএস/কেএম (এএফপি, এপি)