1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেন সংকট নিয়ে চীনের অস্বস্তি বাড়ছে

২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ইউক্রেন যুদ্ধের বর্ষপূর্তির আগে চীন সম্ভাব্য রাজনৈতিক সমাধানসূত্র তুলে ধরতে চাইছে৷

https://p.dw.com/p/4NmaB
গত বছরের সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে পুটিন ও জিনপিং
গত বছরের সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে পুটিন ও জিনপিংছবি: Sergei Bobylyov/Sputnik/AFP

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার বর্ষপূর্তির ঠিক আগে ওয়াশিংটন ও মস্কো নিজ নিজ অবস্থান জোরদার করতে যখন তর্জনগর্জন চালাচ্ছে, তখন চীন এই সংকটের অবসানের লক্ষ্যে নিজস্ব কূটনৈতিক উদ্যোগ তুলে ধরার তোড়জোড় করছে৷ তবে রাশিয়ার সঙ্গে ‘সীমাহীন' বন্ধুত্বের কারণে সে দেশের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ উল্লেখ্য, চীন এখনো ইউক্রেনের উপর হামলার জন্য রাশিয়ার নিন্দা করে নি৷ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও বার বার মস্কোর পাশে দাঁড়িয়েছে বেইজিং৷ তার উপর চীন রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে বলে অ্যামেরিকা যে সন্দেহ প্রকাশ করেছে, তার ফলে সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চীনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ অ্যামেরিকা ও ইউরোপ বেইজিং-কে সে বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে৷ চীন অবশ্য এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷ উলটে অ্যামেরিকাই ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করে সংকট আরও তীব্র করে তুলছে বলে বেইজিং পালটা অভিযোগ করছে৷

চীন এদিকেইউক্রেন সংকট নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে যাচ্ছে বলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷ সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিন গাং সেইসঙ্গে কয়েকটি দেশের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে ‘আগুনে ঘি ঢালা' বন্ধ করার ডাক দিয়েছেন৷ মঙ্গলবার বেইজিংয়ে বিশ্ব নিরাপত্তা সম্মেলনে এক ভাষণে তিনি বলেন, চীন কোনো দেশের আধিপত্য এবং চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরোধী৷ পশ্চিমা বিশ্ব তাইওয়ানের প্রশ্নে বার বার ইউক্রেনের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে চীনের উপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলে তিনি অভিযোগ করেন৷ তিনি বলেন, চীনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা কঠিন হুমকির মুখে পড়ছে৷

মঙ্গলবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং ‘গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ' নামের এক ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেছে৷ তাতে ‘অবিভাজ্য নিরাপত্তা' নামের এক কনসেপ্টের উল্লেখ রয়েছে, রাশিয়াও যা অনুমোদন করে৷ শি চলতি সপ্তাহেই ইউক্রেন সংকটের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এক ভাষণ দেবেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ চীনা নেতৃত্ব ইউক্রেন সংকট অবসানের লক্ষে এক ‘রাজনৈতিক সমাধানসূত্র' পেশ করার অঙ্গীকার করেছে৷ সেই প্রস্তাব ইউক্রেনসহ বাকি বিশ্বের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, সে বিষয়ে আগে থেকেই সংশয় দেখা দিচ্ছে৷

মঙ্গলবার মস্কো সফর করছেন চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই৷ ফ্রান্স, ইটালি, হাঙ্গেরি ও জার্মানি সফরের পর তিনি মস্কোয় সম্ভবত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন৷ ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন৷ চীনের কূটনৈতিক উদ্যোগের প্রতি পুটিন সমর্থন জানাবেন, সে বিষয়ে কার্যত কোনো সংশয় দেখা যাচ্ছে না৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান