1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কবে ফিরবে নিহতদের লাশ?

১৫ মার্চ ২০১৮

নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে বাংলাদেশ৷ নিহতদের মরদেহের অপেক্ষায় রয়েছেন স্বজনরা৷ আহত এক বাংলাদেশির অবস্থা আশংকাজনক৷

https://p.dw.com/p/2uO24
Bangladesch Überlebende des Flugzeugbsturzes in Nepal erreichen Dhaka
ছবি: bdnews24.com

সোমবার নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ৭১ আরোহীর মধ্যে ৫১ জন নিহত হন৷ তাদের মধ্যে চার ক্রুসহ ২৬ জন ছিলেন বাংলাদেশি৷ দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সারা দেশে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ভবনে এবং বিদেশে বাংলাদেশের সব মিশনে জাতীয় পাতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে৷

বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশের একটি বিশেষ চিকিৎসক দল গঠন করে নেপালে পাঠানো হয়েছে৷ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল হাসান জানিয়েছেন, বিমান দুর্ঘটনায় আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে ইমরানা কবির হাসি, শেখ রাশেদ রুবাইয়াত, আলমুন নাহার অ্যানি, মেহেদী হাসান, সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা, কবির হোসেন ও মো. শাহীন বেপারি কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ ইয়াকুব আলী নরভিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ আহত চিকিৎসক রেজওয়ানুল হককে গতকাল উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়েছে৷ এছাড়া, আহত শাহরিন আহমেদ ঢাকায় ফিরে এসেছেন৷

লাশের জন্য স্বজনদের অপেক্ষা

কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস  বুধবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘নিহতদের ময়নাতদন্ত শেষ করতে আরও চার দিন সময় লাগবে৷ তারপর স্বজনদের তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে তথ্য নিশ্চিত করে মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করবে নেপালি কর্তৃপক্ষ৷ পুড়ে যাওয়ার কারণে যাদের মরদেহ শনাক্ত করতে ডিএনএ মেলানোর দরকার হবে, তাদের ক্ষেত্রে তিন সপ্তাহ সময় লাগবে৷'' লাশ শনাক্ত করার কাজটি দ্রুততর করতে নেপালকে ডিএনএ পরীক্ষার কাজে সহযোগিতা করারও প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ৷

লাশের অপেক্ষায় ক্ষণ গুনছেন বাংলাদেশ, নেপাল ও চীনের নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা৷ নিহত ৫১ জনের কারো লাশই মর্গে আনার পর স্বজনদের দেখতে দেওয়া হয়নি৷ ময়নাতদন্ত শেষ না হলে কোনো লাশ দেখতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন টিচিং হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান প্রমোদ শ্রেষ্ঠা৷ তিনি জানান, নিহতদের ১০ জনকে দেখে চেনা সম্ভব৷ অন্য ৪১ জনের শরীর এতটাই পুড়ে গেছে যে তাঁদের কোনোভাবেই চেনা সম্ভব নয়৷

এদিকে বিমান দুর্ঘটনায় আহত ২০ জনের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশংকাজনক৷ একজনকে কৃত্রিম উপায়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে৷ এদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি এমরানা কবির হাসির অবস্থা গুরুতর৷ তাঁর শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে৷ কাঠমান্ডু মেডিকেলে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন৷ হাসির স্বামী রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রকিবুল হাসান ঘটনাস্থলেই মারা যান৷

নিহত নেপালিদের জন্য

তদন্তে দীর্ঘ সময়

বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশ, নেপাল ও উড়োজাহাজের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোম্বার্ডিয়ার যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে৷ বোম্বার্ডিয়ারের প্রতিনিধি বুধবার বাংলাদেশ ও নেপাল তদন্ত দলের সঙ্গে বৈঠক করেন৷ নেপাল সরকারে ছয় সদস্যের কমিটি এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ বোম্বার্ডিয়ারের দুই সদস্য গতকাল নেপালে গেছেন৷

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল নাইম হাসান বলেছেন, ‘‘নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার তদন্তে দীর্ঘ সময় লেগে যেতে পারে৷ ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) নিয়ম অনুযায়ী, ৩৬৫ দিনের মধ্যে এ ধরনের তদন্ত শেষ করতে হয়, প্রয়োজনে আরও বেশি সময় নেওয়া যেতে পারে৷''

এপিবি/এসিবি

প্রতিবেদনটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য