রানা প্লাজার হত্যা মামলার বিচার
২২ ডিসেম্বর ২০১৫আনোয়ারুল কবির জানান, ‘‘সোমবার আদালত মোট ৪১ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে৷ এখন পুলিশ পলাতক ২৪ জন আসামিকে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে আটক অথবা পলাতক বলে প্রতিবেদন দেবে৷ আর সেই প্রতিবেদন দাখিলের পরই শুরু হবে বিচার৷''
তিনি জানান, ‘‘যারা আটক হবে না, তাদের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেয়া হবে এবং তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু হবে৷''
তাঁর কথায়, ‘‘এরপর বিচারিক আদালত মামলায় অভিযোগ গঠন এবং বিচারকাজ শুরু করবে আদালত৷ অভিযোগ গঠনই বিচার শুরুর প্রথম ধাপ৷ আর এ কাজ ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই সম্ভব হবে৷''
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৪ জন পোশাক শ্রমিক প্রাণ হারান৷ ভবনের ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে দুই হাজার ৪৩৮ জন পোশাক-কর্মীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়৷ এ ঘটনায় ঐ বছরের ২৫ এপ্রিল সাভার থানায় হত্যা এবং ইমারত নির্মাণ আইনে পৃথক দু'টি মামলা করা হয়৷
চলতি বছরের ১লা জুন হত্যা ও ইমারত নির্মাণ আইনে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দু'টি অভিযোগ-পত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)৷ আসামিদের মধ্যে ২৪ জন পলাতক আছেন, ১৬ জন রয়েছেন জামিনে৷ এছাড়া কারাগারে আটকদের মধ্যে ভবনের মালিক সোহেল রানা রয়েছেন৷
পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবির বলেন, ‘‘হত্যা মামলায় অপরাধ প্রমাণের আলামত এবং সাক্ষ্য প্রমাণ আমাদের হাতে আছে৷ আমরা বিচারে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণে সক্ষম হবো৷''
আপনি কি চান সোহেল রানার মতো মানুষরা শাস্তি পান? জানান নীচের ঘরে৷