‘ক্রেতাদের মধ্যে নিরপত্তা নিয়ে প্রশ্ন নেই'
১৬ অক্টোবর ২০১৫শুক্রবার ডয়চে ভেলেকে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘‘দু'জন বিদেশি নাগরিক হত্যার চেয়ে অনেক বড় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমের অনেক দেশে এরপর হয়েছে এবং হচ্ছে৷ তহালে বাংলাদেশ কীভাবে অনিরাপদ হয়?''
সম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ইটালি এবং জাপানের দু'জন নাগরিক হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশের নিরপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন পশ্চিমের দেশগুলো৷ এর প্রভাব নাকি পড়তে পারে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পেও৷ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এরকমই খবরই দিচ্ছে৷ এরইমধ্যে দুই প্রধান ক্রেতা ‘গ্যাপ' এবং ‘এইচঅ্যান্ডএম তাদের বাংলাদেশ সফর স্থগিত করেছে নিরাপত্তার প্রশ্নে৷
এমনকি গত সপ্তাহে ঢাকায় বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক মালিকদের একটি বৈঠক বাতিলও করা হয়েছে নিরাপত্তা ইস্যুতে৷ তবে বিজিএমই-এর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ক্রেতা এখনো বাংলাদেশ সফর বাতিল বা স্থগিতের কথা জানায়নি৷ নিরাপত্তা নিয়ে কোনো উদ্বেগের কথাও বলেনি তারা৷''
তিনি জানান, ‘‘দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ডের পর জার্মান মন্ত্রী ঢাকায় এসেছেন৷ এখানে ‘জার্মান ডে' হয়েছে৷ এইচঅ্যান্ডএম-এর প্রতিনিধি ঢাকায় এসেছেন৷ গ্লোবাল মার্কেটিং-এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টরও ঢাকায় এসেছেন৷ তাহলে নিরপত্তার প্রশ্ন উঠছে কেন?''
তাঁর মতে, ‘‘নিরাপত্তার প্রশ্নে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে কোনো নেতিবাচক প্রভাব নেই৷ আর বাংলাদেশের পোশাক খাতের পরিবেশ এবং শ্রমিকদের কর্ম পরিবেশ আগের চেয়ে অনেক ভালো৷''
এদিকে শুক্রবার ঢাকার অদূরে গাজীপুরে এক অনুষ্ঠান মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট বলেছেন, ‘‘গত দু-তিন বছরে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্পে বেশ সক্ষমতা অর্জন করেছে৷ বিশেষত শ্রমিকদের নিরাপত্তায় অনেক অগ্রগতি হয়েছে, তবে আরো কাজ বাকি রয়েছে৷''
প্রঙ্গত, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খান তৈরি পোশাক৷ ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসে প্রায় এগার'শ শ্রমিকের মৃত্যুর পর, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্প চাপের মুখে পড়ে৷