1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আসন্ন ন্যাটো সম্মেলনকে ঘিরে নানা প্রশ্ন

২৮ জুন ২০২৪

ইউরোপের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং অ্যামেরিকায় রাজনৈতিক পালাবদলের সম্ভাবনা ন্যাটোর গতিপথ প্রশ্নের মুখে ফেলছে৷ ইউক্রেনের জন্য সহায়তা অটুট রাখতে শীর্ষ সম্মেলনের আগেই উদ্যোগ চলছে৷

https://p.dw.com/p/4hcT0
এপ্রিলে ব্রাসেলসে ন্যাটোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলস্থলের বাইরে ন্যাটো ও সদস্য কয়েকটি দেশের পতাকা
৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ৯ থেকে ১২ই জুলাই ওয়াশিংটনে শীর্ষ সম্মেলনে জড়ো হবে ন্যাটোর সদস্যরা ছবি: Janine Schmitz/photothek/IMAGO

রাশিয়ার হামলার মুখে ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমা জগতের লাগাতার সমর্থন এতকাল সম্ভব হলেও ইউরোপ ও অ্যামেরিকায় কিছু রাজনৈতিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা সেই নিশ্চয়তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে৷ সামরিক জোট ন্যাটোর ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আগামী ৯ থেকে ১২ই জুলাই ওয়াশিংটনে শীর্ষ সম্মেলনে বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব পাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ ফ্রান্সে সাধারণ নির্বাচনে উগ্র দক্ষিণপন্থি শিবিরের ক্ষমতায় আসা এবং অ্যামেরিকায় আগামী নভেম্বর মাসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা সামরিক জোটের ঐক্য বড় প্রশ্নের মুখে ফেলছে৷ প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের প্রস্থান এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ রাজনৈতিক দুর্বলতা ন্যাটোর অনেক সিদ্ধান্ত প্রশ্নের মুখে ফেলবে৷

ন্যাটোর বিদায়ী মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ গুরুত্বপূর্ণ এই শীর্ষ সম্মেলনে বিঘ্ন এড়াতে কূটনৈতিক উদ্যোগ নিচ্ছেন৷ তিনি একাধিক সদস্য দেশ সফর করে ঐকমত্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন৷ গত বছরের সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ান সুইডেনের প্রার্থিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ঐক্যে চিড় ধরিয়েছিলেন৷ এবারের সম্মেলনে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে আপত্তি জানাতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ বিশেষ করে ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে ন্যাটোর কেন্দ্রীয় ভূমিকার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন তিনি৷ তবে স্টলটেনবার্গের বুদাপেস্ট সফরের পর তিনি সেই উদ্যোগে বাধা সৃষ্টি না করার আশ্বাস দিয়েছেন৷ স্টলটেনবার্গের উত্তরসূরি হিসেবে নেদারল্যান্ডসের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে-র প্রতিও শেষ পর্যন্ত সমর্থন দেখিয়েছেন ওরবান৷

 

ওরবানের মতো নেতার সম্মতি আদায় করা ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠলেও পশ্চিমা জোটের মূল দুশ্চিন্তা অ্যামেরিকায় রাজনৈতিক পালাবদল নিয়ে৷ ডনাল্ড ট্রাম্প আবার হোয়াইট হাউসে পা রাখলে ন্যাটোর ঐক্যে চিড় ধরতে পারে, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ এখনো পর্যন্ত অ্যামেরিকা ‘রামস্টাইন প্রক্রিয়া' নামের কাঠামোর আওতায় প্রায় ৫০টি দেশের সঙ্গে ইউক্রেনের জন্য সামরিক সাহায্যের সমন্বয় করে চলেছে৷ ন্যাটো এখনো সরাসরি ইউক্রেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা না দিলেও ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে৷ তিনি ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তায় কাটছাঁট করলে ন্যাটোকেই হয়তো সেই ঘাটতি মেটাতে হতে পারে৷

ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা অটুট রাখতে নানা ধরনের আইনি নিশ্চয়তার উদ্যোগ চলছে৷ ইটালিতে জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন দশ বছরের নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে৷ এর আওতায় ভবিষ্যতে ইউক্রেনে আবার হামলা হলে অ্যামেরিকা সাহায্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে৷ তবে বাইডেনের আমলেও অ্যামেরিকা এবং সহযোগী দেশ জার্মানি ইউক্রেনের জন্য সহায়তার ক্ষেত্রে ‘অতি সতর্ক' পদক্ষেপ নিয়েছে বলে ন্যাটোর অনেক সদস্য মনে করে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান