আশাবাদী আতিকুল-তাপস, শঙ্কায় তাবিথ-ইশরাক
১ ফেব্রুয়ারি ২০২০দুই সিটিতেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ের আশা প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে, ভোট নিয়ে নিজেদের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিএনপির প্রার্থীরা।
ফল যাই হোক মেনে নেয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটির আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম।
উত্তরার নবাব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন আতিকুল। বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, নিজের জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশা প্রকাশ করে সবাইকে ভোট দিতে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আতিকুল বলেন, ‘‘আমি এর আগে বিজিএমই নির্বাচন করেছি। নির্বাচনের বিষয়টি আমার কাছে নতুন নয়। সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট হোক এটাই প্রত্যাশা। ভোটারদের আহ্বান জানাই, আপনারা সবাই ভোট কেন্দ্রে আসুন ভোট দিন।''
অন্যদিকে, ভোট দিয়েই নিজের শঙ্কার কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন উত্তর সিটির বিএনপি প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। তবে ২০১৫ সালের সিটি নির্বাচনে মাঝপথে ভোট থেকে সরে দাঁড়ালেও এবার মাঠে শেষ পর্যন্ত দেখার কথা বলেছেন তিনি।
সকালে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের তাবিথ বলেন, ‘‘সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমার কাছে মনে হচ্ছে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে আমরা যাচ্ছি না। ভয়ভীতি, হামলা, পরিস্থিতির ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা সকাল থেকে করা হচ্ছে।''
নিজের ভোটকেন্দ্র গুলশানের মানারাত স্কুল এন্ড কলেজে কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে না পাওয়ার ও ইভিএম নিয়ে ত্রুটির অভিযোগও করেন তিনি। অভিযোগ করেন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড, কালা চাঁদপু্র হাইস্কুল ও বনানী মডেল স্কুল কেন্দ্রসহ বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
তাবিথও সবাইকে ভোট দিতে কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
দক্ষিণ সিটিতে ইভিএমে নির্বিঘ্নে নিজের ভোট দিতে পারলেও শঙ্কা কাটছে না বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেনের। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘ইভিএমে প্রথমবারেই আমি ভোট দিতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, এতে কোনো ত্রুটি নেই। আমরা আশংকা করছি, এসব মেশিনে পোগ্রামিংয়ে ত্রুটি থাকতে পারে যাতে পক্ষপাতিত্বমূলক ভোট হয়।''
তবে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগের কথা সাংবাদিকদের বলেননি ইশরাক।
এদিকে দক্ষিণ সিটির অন্য নানা কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হয়নি, এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস।
ধানমন্ডির কামরুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দেন তিনি। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সাংগঠনিক শক্তি না থাকাতেই বিএনপি সব কেন্দ্রে এজেন্ট নিয়োগ দিতে পারেনি। এখন পর্যন্ত কোনো কেন্দ্রে কোনো ধরনের অভিযোগ পাননি বলেও জানান তাপস।
এডিকে/ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)