আরব জগতের বিভিন্ন প্রান্তে জনরোষ
৬ মার্চ ২০১১সৌদি আরবের কাতিফ শহরে নিরাপত্তা বাহিনী গত কয়েক দিনে সংখ্যালঘু শিয়া সম্প্রদায়ের কমপক্ষে ২২ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করেছে মানবাধিকার গোষ্ঠী ‘হিউম্যান রাইটস ফার্স্ট সোসাইটি'৷ সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করে নি৷ গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে শিয়ারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখিয়ে আসছে৷ দেশের পূর্বাঞ্চলে পেট্রোলিয়াম সমৃদ্ধ এলাকায় তাদের বসবাস৷ বাহরাইনও সেখান থেকে বেশি দূর নয়৷ ফলে সুন্নি প্রধান আরব উপদ্বীপে সংখ্যালঘু শিয়াদের বিক্ষোভ শাসকদের বিশেষভাবে বিচলিত করছে৷ সৌদি আরবে গণতন্ত্রের জন্য চাপ বাড়ছে৷ উদারপন্থী, ইসলামপন্থী ও শিয়াদের এক জোট বাদশাহ আব্দুল্লাহর কাছে এক আবেদন জমা দিয়েছে, যাতে তারা মুক্ত ও অবাধ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে৷
এদিকে বাহরাইনে বিক্ষোভ প্রশমিত করতে সেদেশের সরকার কিছু পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে৷ এর মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীতে ২০,০০০ বাড়তি পদ সৃষ্টি করা, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সংখ্যাগুরু শিয়া সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়োগ সহজ করা ইত্যাদি৷ উল্লেখ্য, এতকাল এমনকি বিদেশ থেকে আসা সুন্নিদের বাহরাইনের নাগরিকত্ব দিয়ে চাকরি দেওয়া হতো এবং শিয়াদের জন্য সরকারি চাকরি পাওয়া কঠিন ছিলো৷ সুন্নি রাজপরিবার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে গত কয়েক সপ্তাহের বিক্ষোভের জের ধরে ছোট এই দেশটিতে অস্থিরতা বেড়ে চলেছে৷ বিরোধীরা অবশ্য সরকারের এই সব পদক্ষেপের ঘোষণাকে সন্দেহের চোখে দেখছে৷ তারা শুরু থেকেই সরকারের পদত্যাগ ও গণতন্ত্রের দাবি জানিয়ে আসছে৷ সাংবিধানিক রাজতন্ত্র বজায় রেখেই মূল ক্ষমতা সংসদের হাতে তুলে দেবার পক্ষে তারা৷
ওমান থেকেও অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ আজ ওমানের জাতীয় বিমান সংস্থার কর্মীরা সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে৷ খোলাখুলি শ্রমিক অসন্তোষের এমন ঘটনা আরব জগতে সহজে দেখা যায় না৷ ওমানের বিভিন্ন প্রান্তে রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে যে বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে, রবিবারের এই বিক্ষোভ তার ফলেই সম্ভব হয়েছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী