আফসানাকে ‘ধষর্ণের পর খুন'
১৮ আগস্ট ২০১৬ঢাকার মিরপুরের সাইক ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজির স্থাপত্যবিদ্যার শিক্ষার্থী আফসানা ফেরদৌসকে অচেতন অবস্থায় গত শনিবার রাতে কাফরুলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ফেলে যায় দুই তরুণ৷ এরপর পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে বলে জানিয়েছে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷
পুলিশের বরাতে বিডিনিউজ জানিয়েছে, আফসানার গলায় দাগ পাওয়া গেছে৷ এদিকে, তাঁর পরিবার দাবি করেছে, আফসানাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে৷ আর এই ঘটনার জন্য তেজগাঁও কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দায়ী বলে মনে করছেন তাঁরা৷
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং টুইটারে আফসানা হত্যার বিচার দাবি করেছেন অনেকে৷ টুইটারে ইংরেজিতে #জাস্টিসফরআফসানা হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে নরওয়ে প্রবাসী প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল এই ছবিটি শেয়ার করেছেন৷
ফেসবুকে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আশঙ্কা করেছেন, যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, তিনি ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের সদস্য হওয়ায় শাস্তির হাত থেকে বেঁচে যেতে পারেন৷ বড়ুয়া লিখেছেন, ‘‘আফসানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে বুড়ো আঙুল দেখানোর চেষ্টা দেখা যাচ্ছে৷ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলে বা অন্য কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত থাকলে আইন ভিন্নরকমভাবে প্রয়োগ হওয়ার সুযোগ নেই৷ কিন্তু ক্ষমতাসীন রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলে বিচার হয়না- এমন বিষয় দাঁড়িয়ে যাওয়ার কারণে অভিযোগের ধরণও পালটে গেছে৷ এখন আমরা বলি- ছাত্রলীগ নেতা আফসানাকে হত্যা করেছে৷''
দীর্ঘ স্ট্যাটাসের একাংশে তিনি লিখেছেন, ‘‘পুলিশ বড় অসহায়৷ তারা এসব ক্ষেত্রে খুবই অবলা৷ শ্যামল কান্তি স্যারের রিপোর্ট কী দিল দেখলেন না! তনুর কি হলো তা-তো বুঝতেই পারছেন৷''
ক্যানাডা প্রবাসী সাংবাদিক শওগাত আলী সাগরও আফসানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করেছেন৷ এক্ষেত্রে পুলিশের সম্ভাব্য ভূমিকাকে ব্যঙ্গ করে ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘‘আফসানা হত্যার বিচার চেয়ে খামোখা বিব্রত করবেন না৷ আমাদের পুলিশ এখন ব্যস্ত আছে৷ তারা মার্কিন সরকারকে ‘সহায়তা দেওয়ার' প্রস্তুতি নিচ্ছে৷''
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী