আফগানিস্তানে বিস্ফোরণ, মৃত বহু
২৫ নভেম্বর ২০২০কাতারে এখন সরকার ও তালেবানের মধ্যে শান্তি আলোচনা চলছে। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে অর্ধেক মার্কিন সেনাআফগানিস্তান থেকে দেশে ফিরে যাবে। ফলে বিদেশি সেনার সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে। তবে আফগানিস্তান পুনর্গঠনের জন্য বিভিন্ন দেশ মিলে ঢালাও অর্থ সাহায্য করছে। এই পরিস্থিতিতে জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো বামিয়ান শহরের প্রধান বাজার এলাকা। ব্যস্ত বাজারে রাস্তার ধারে রাখা ছিল দুইটি বোমা। বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল থেকে দুই ট্র্যাফিক পুলিশ সহ ১২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, অন্ততপক্ষে ৪৫ জন আহত। কয়েকজনের আঘাত গুরুতর।
বামিয়ান হলো আফগানিস্তানের তুলনামূলকভাবে নিরাপদ এলাকাগুলির অন্যতম। কারণ, এটি পাহাড়ে ঘেরা প্রত্যন্ত এলাকা। তালেবান জানিয়েছে, তারা বিস্ফোরণ ঘটায়নি। ইসলামিক স্টেট বা আইএসের সঙ্গে যুক্ত সংগঠন এখনো দায় স্বীকার করেনি। তবে এই গোষ্ঠী এর আগেও ওই অঞ্চলে সংখ্যালঘু শিয়াদের লক্ষ্য করে আক্রমণ শানিয়েছিল। কাবুলে একটি প্রসূতি হাসপাতালে আক্রমণ করে ২৪ জন সদ্য মা ও বাচ্চাকে মারার পিছনে ওই সংগঠনের হাত ছিল বলে অ্যামেরিকা জানিয়েছিল।
আফগানিস্তানে দুই দশকের বিরোধ ও সংঘাত শেষ করার জন্য কাতারে এখন আলোচনা করছে সরকার ও তালেবান। বেশ কিছুদিন ধরে সেই আলোচনা চলছে। এখনো সম্পূর্ণ মতৈক্যে পোঁছনো যায়নি। আলোচনা চললেও হত্যা, সংঘর্ষ, বিস্ফোরণ থামেনি। জতিসংঘের হিসাব, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে ছয় হাজার আফগানকে হত্যা করা হয়েছে বা তাঁরা গুরুতর আহত হয়েছেন।
সাহায্যের হাত
মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় ডোনারস কনফারেন্স হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন দেশ আফগানিস্তান পুনর্গঠনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। জার্মানি ৪৩ কোটি ইউরো দেবে বলে জানিয়েছে। যুক্তরাজ্য দেবে ১৯ কোটি ইউরো। অ্যামেরিকা ৬০ কোটি ডলার দেবে। ৭০টা দেশ মিলে এক হাজার ২০০ কোটি ডলার দেবে বলে জানিয়েছে। তবে এই দেশগুলি চায়, তাদের দেয়া অর্থে যেন উন্নয়নের কাজ হয় এবং সেই কাজের সুফল মানুষ পান।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)