কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গি হামলায় নিহত ২২
৩ নভেম্বর ২০২০কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গি হামলা। নিহত অন্তত ২২ জন ছাত্র। আহত আরো ২২। হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠী। বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু দিনের মধ্যে এত বড় জঙ্গি হামলা ঘটেনি। গত সপ্তাহেই কাবুলের একটি মাদ্রাসায় হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। মৃত্যু হয়েছিল বেশ কিছু ছাত্রের।
সোমবার দুপুরে ক্লাস চলছিল কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে। দুপুরেই ইরানকে থিম করে একটি বইমেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। তার জন্য বাইরে থেকে অভ্যাগতরাও এসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। কিন্তু তা আর হয়নি। বইমেলা শুরু হওয়ার আগেই জঙ্গিরা ঢুকে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে। এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে। কাবুল পুলিশ সংবাদসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, প্রথমে বিশ্ববিদ্যলায়ে ঢোকে একজন জঙ্গি। তার শরীরে বোমা বাঁধা ছিল। প্রথমে নিজেকে উড়িয়ে দেয় সে। এরপরেই আরো দুই জঙ্গি গুলি চালাতে চালাতে ভিতরে ঢুকে পড়ে। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি হয়। যে দিকে পারে পালাতে শুরু করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফ্রায়দুন আহমেদি ঘটনাস্থলে ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, ''গুলি যখন চলতে শুরু করে, আমরা তখন ক্লাসের ভিতর ছিলাম। গুলির আওয়াজ শোনার সঙ্গে সঙ্গেই সকলে চিৎকার করতে শুরু করে। মেয়েরা লুকনোর চেষ্টা করে। ছেলেরা পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করে। ক্লাসে ঢুকে গুলি করেছে ওরা।''
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হামিদ ওবাইদি জানিয়েছেন, ইরানের বইমেলা উদ্বোধনের জন্য যখন সরকারি কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছেছিলেন, তখনই হামলা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে গুলি চলে। ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ঘৃণ্য আক্রমণ বলে ঘটনাটির ব্যাখ্যা করেছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি। এক দিনের শোকদিবসের ডাক দিয়েছেন তিনি। সোমবার বিকেলেই আইএস ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। কিছুদিন আগে কাবুলের একটি মাদ্রাসাতেও তারা হামলা চালিয়েছিল।
এর আগেও কাবুলের বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একাধিক হামলা হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে বহু ছাত্রের। তবে সোমবারের ঘটনার ভয়াবহতা অন্য বহু ঘটনাকে ম্লান করে দিয়েছে। কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না, জঙ্গিরা কী ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকে পড়ল, এ সব বিষয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এসজি/জিএইচ(এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)