আফগান নাগরিক বিতাড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
২৫ জুলাই ২০১৮ফলে বিমানের উড্ডয়ন দেরি হয়ে যায়৷ পুরো ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভ করেন এরসন৷ অনেকে তাঁর সাহসের প্রশংসা করলেও এজন্য তাঁকে সাজা পেতে হতে পারে বলে জানা গেছে৷
সব যাত্রী নিজ নিজ আসনে বসে সিট বেল্ট না বাঁধলে বিমান টেক অফ করতে পারে না৷ ২৩ জুলাই সে নিয়মটাই কাজে লাগালেন এলিন এরসন৷
সুইডিশ এই তরুণী ইস্তানবুলগামী ৫২ বছর বয়সি এক আফগান নাগরিকের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন৷ ইস্তানবুল থেকে তাঁকে অন্য প্লেনে আফগানিস্তান পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল৷
এক পর্যায়ে নিজের মোবাইল ফোন থেকে ফেসবুকে লাইভ শুরু করেন এলিন৷ ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্ট এবং এক পর্যায়ে কিছু যাত্রীও রেগে গিয়ে তাঁকে আসনে বসার অনুরোধ জানান৷
কিন্তু গোঁ ধরেন এলিন৷ অন্যায় কিছুই করছেন না বলে জানান তিনি৷ আফগান নাগরিককে প্লেন থেকে নামিয়ে দিলেই তিনিও আসনে বসবেন বলে জানান৷
তাঁর আচরণে অনেকে বিরক্ত হলেও কিছুক্ষণ পরেই অনেক যাত্রী তাঁর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রতিবাদে যোগ দেন৷
এক পর্যায়ে ফ্লাইটে ঘোষণা দেয়া হয়, সেই আফগান নাগরিককে প্লেন থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে, তবে পাশাপাশি নামতে হবে এলিনকেও৷
ফেসবুকে অনেকেই তাঁকে স্বাগত জানালেও সুইডেশ পুলিশ বিষয়টাকে এতো সহজভাবে দেখছে না৷ তাঁরা বলছে, প্লেনে পাইলটের নির্দেশ অমান্য করার শাস্তি হিসেবে এলিনকে জরিমানা দিতে হতে পারে, এমনকি হতে পারে ৬ মাসের জেলও৷
অন্যদিকে সেই আফগান নাগরিককে শিগগিরই তাঁর দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷
এডিকে/জেডএইচ