আদিবাসীদের বিক্ষোভে কলকাতা অচল
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩শুক্রবার সকাল নয়টা নাগাদ হাওড়া ব্রিজে অবরোধ করেন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা আদিবাসীরা। এই বিক্ষোভের আয়োজক 'ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশনস'।
হাওড়া ব্রিজ অবরোধ করার পর আদিবাসীদের মিছিল এগোতে থাকে স্ট্র্যান্ড রোড, ব্রেবোর্ন রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে ধর্মতলার রানি রাসমণি রোডের দিকে। ফলে পুরো বিবাদী বাগ ও এসপ্ল্যানেড-সহ বিশাল এলাকায় দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। অনেকগুলি এলাকায় ট্রাফিক পুরোপুরি থেমে গেছে।
কী দাবি?
আদিবাসীদের দাবি হলো, তাদের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও উচ্ছেদ বন্ধ করতে হবে। তবে তাদের প্রধান দাবি হলো, কুড়মি-মাহাতোদের তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি দেয়া যাবে না। কুড়মি-মাহাতোরা এই স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে। দীর্ঘ সময় ধরে তারা পুরুলিয়া-সহ কয়েকটি জায়গায় রেল অবরোধ করেছেন। তারা কলকাতায় এসেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
এবার কলকাতায় এসেছে ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশনস। এদিন তাদের বিক্ষোভ ছিল আকারে রীতিমতো বড়। হাওড়া স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে আদিবাসী সম্প্রদায়ের আন্দোলনরত মানুষsরা পায়ে হেঁটে চলে আসেন হাওড়া ব্রিজে। বেলা সাড়ে বারোটাতেও হাওড়া ব্রিজ বন্ধ। হাওড়া বা কলকাতা থেকে কেউ আসতে বা যেতে পারছেন না। এমনকী হেঁটেও নয়।
আর মিছিল যে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে, সেখানে প্রবল যানজট তৈরি হয়েছে। স্ট্র্যান্ড রোডের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দিয়েও গাড়ি এগোচ্ছে না।
এই মিছিল ও অবরোধের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে অফিসপাড়া বিবাদী বাগ ও ধর্মতলা এলাকায়।
সংগঠকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাদের কথা না শুনলে তারা দিল্লিতে গিয়ে এভাবেই রাজধানী অচল করে দেবেন।
সবচেয়ে বড় কথা, এই মিছিল সম্পর্কে বাসচালকরা অবহিত ছিলেন না। তাই তারা আরো বিপাকে পড়ে যান।
আদিবাসীদের মিছিল বিশাল বড়। প্রশ্ন উঠছে, ট্রাফিক পুলিশের কাছেও কি কোনো খবর ছিল না? খবর থাকলে তারা ট্রাফিক ও মিছিল নিয়ন্ত্রণের কোনো চেষ্টা করলো না কেন?
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, আনন্দবাজার)