আটকে পড়াদের সিরিয়া ত্যাগ
২৭ জানুয়ারি ২০১৪শুক্রবার জেনেভায় শুরু হয়েছে আসাদ সরকার ও বিরেধীদের মধ্যে দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা৷ আলোচনায় সিরিয়া সরকারের পক্ষ থেকে সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল-মুয়াল্লেম এবং বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে বিরোধী দলনেতা আহমেদ আল-জারবার নেতৃত্বে দুটি প্রতিনিধি দল অংশ নিচ্ছে৷ জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যস্থতায় চলমান এ আলোচনায় এ পর্যন্ত আশানুরূপ সাফল্য পাওয়া গেছে বলে মনে করেন জাতিসংঘের সিরিয়া বিষয়ক দূত লাখদার ব্রাহিমি৷
ব্রাহিমি জানান, আলোচনায় আসাদ সরকার বিদ্রোহীদের দখলে থাকা হোমস নগরী থেকে নারী, শিশু এবং আহতদের সিরিয়া ত্যাগের সুযোগ করে দিতে রাজি হয়েছে৷ সোমবারই হোমস থেকে আটকে পড়াদের সিরিয়া ত্যাগ শুরু হওয়ার কথা৷ গত কয়েকমাস ধরে সে অঞ্চলে আটকে পড়া সিরীয়রা মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য হচ্ছেন৷ এলাকাটি আসাদ সরকারের অনুগত বাহিনী ঘিরে রাখায় সেখান থেকে কেউ বেরোতে পারছেনা, আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোও সেখানে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যেতে পারছে না৷
জেনেভার আলোচনায় সিরিয়ার সরকার এবং বিরোধীপক্ষ ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা' প্রদর্শন করছেন বলে ব্রাহিমি খুশি৷ তবে হোমস থেকে আটকে পড়ারা রেরোতে গেলে আসাদের অনুগত বাহিনী তাঁদের আটক করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ সিরিয়ার মানবাধিকার কর্মীরা এ ব্যাপারে আসাদ সরকারের পক্ষ থেকে বোরোনোর সময় কাউকে আটক না করার আগাম নিশ্চয়তা দাবি করেছেন৷
লাখদার ব্রাহিমি আলোচনার অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করলেও একটি বিষয়ে সিরিয়ার সরকার এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে৷ বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে এ মুহূর্তেই প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অপসারণ দাবি করা হয়েছে৷ তাঁরা মনে করেন, সিরিয়ার গণতন্ত্রের পথে যাত্রা এভাবেই সম্ভব৷ তবে আসাদ সরকারের প্রতিনিধিরা এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন৷
২০১১ সালের মার্চ থেকে আসাদ সরকারের অনুগত বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের যুদ্ধ চলছে৷ যুদ্ধে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষ মারা গেছে৷ ২৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ সিরিয়া ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে৷ অন্তত সাড়ে ছয় লাখ মানুষ সিরিয়াতেই ঘরছাড়া৷
এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, এপি, এএফপি)