সিরিয়ায় সংঘাত বন্ধের আহ্বান
২৩ জানুয়ারি ২০১৪বুধবার ইসলামিস্ট ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অডিও বার্তায় আল-কায়েদা নেতা আয়মান আল-জওয়াহিরি বলেছেন, ‘নিজেদের মধ্যে সংঘাত বন্ধ করতে হবে, হানাহানি বন্ধ করতে হবে৷'' পরস্পরের মধ্যে মতপার্থক্য দূর করতে বিচারিক কমিটি গঠনের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি৷ কোন স্থান থেকে বার্তাটি পাঠানো হয়েছে তা জানতে পারেনি বার্তা সংস্থা রয়টার্স৷
এদিকে, সিরিয়া সংকট নিয়ে বুধবার মন্ট্রেয়ায় শুরু হওয়া আলোচনা চলছে৷ শুক্রবার জেনেভায় শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা৷ আলোচনায় বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধি রয়েছেন৷
তবে, আলোচনা থেকে শেষ মুহূর্তে ইরানকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে এখনও সমালোচনা হচ্ছে৷ সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল-মোয়ালেম জানিয়েছেন, ‘‘ইরানকে আলোচনা থেকে বাদ দিয়ে জাতিসংঘ বড় ভুল করেছে, কেননা, ঐ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ইরানের ভূমিকা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই৷'' এমনকি বুধবারের আলোচনায় খোদ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিও বলেছেন, ইরানের উপস্থিতি আলোচনায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে৷ কিন্তু তিনি এ-ও জানান, তেহরানকে ছাড়া ফলপ্রসূ আলোচনা সম্ভব৷ সিরিয়ার বিদ্রোহীদের মতো যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবও আসাদকে বাইরে রেখেই সমাধানের পক্ষে৷ অন্যদিকে আসাদ সরকারের পক্ষে বলে ইরানের এ আলোচনায় অংশ গ্রহণের বিরোধীতা করছে বিদ্রোহীরা৷
কেরি জানান, সমাধানের অনেক পথ রয়েছে এবং তাঁর বিশ্বাস আগামী কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের মধ্যে আসাদ সরকারও গঠনমূলক সমাধানের জন্য আলোচনায় যোগ দিতে আগ্রহী হবে৷
তবে মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষক আয়হাম কামেল বলেছেন, ‘‘রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নয়, বাস্তবতা বিচার করেই এগিয়ে যেতে হবে৷ চূড়ান্ত সমঝোতায় আসতে হলে বাস্তবতা নিয়ে ভাবতে হবে, যদি আসাদকে বাদ দিতেই হয়, তবে তার অনুপস্থিতিতে কী অবস্থা দাঁড়াবে সেটাও বিবেচনায় রাখা উচিত এবং সেটা ইরান ও রাশিয়ার সহযোগিতায় করা সম্ভব৷''
২০১১ সালের মার্চ থেকে আসাদ সরকারের অনুগত বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের যুদ্ধ চলছে৷ যুদ্ধে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ মারা গেছে৷ যুদ্ধের ভয়াবহতার কারণে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো গত জুলাই থেকে গৃহহীন সিরীয়দের কাছে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছাতে পারছে না৷
এপিবি/এসিবি (রয়টার্স, এপি, এএফপি)