আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কার্যক্রম শুরু
৯ নভেম্বর ২০১৮বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন৷ ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৯ নভেম্বর, বাছাইয়ের তারিখ ২২ নভেম্বর ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৯ নভেম্বর৷ ভোট গ্রহণ ২৩ ডিসেম্বর৷
শুক্রবার থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রির ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছিল আওয়ামী লীগ৷ সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফরম সংগ্রহের মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হয়৷ একটি ফরম কেনা হয়েছে শেখ হাসিনার নিজের আসন গোপালগঞ্জ -৩ (টুঙ্গীপাড়া-কোটালীপাড়া) আসনের জন্য৷ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ফরমটি কিনে আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ আবদুল্লা’র কাছে হস্তান্তর করেন৷ এ ছাড়া তিনি জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর জন্যও একটি ফরম সংগ্রহ করেন৷ ওবায়দুল কাদেরের জন্য নোয়াখালী-৫ আসনের একটি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ৷
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কতদিন পর্যন্ত কেনা যাবে জানতে চাইলে দলের সাধারণ সম্পাদক বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘১১ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের মনোনয়ন বোর্ডের সভা হবে৷ সেখানেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে৷’’
আটটি বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যক্তিদের কাছে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করছে আওয়ামী লীগ৷ ফরমের দাম ৩০ হাজার টাকা৷ সকাল থেকে বিভিন্ন জেলা শহর থেকে বাসে করে সমর্থকদের নিয়ে এসে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন প্রার্থীরা৷
ফরম বিক্রি উপলক্ষে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ কার্যালয় এলাকায় ব্যান্ড পার্টি বাজানো হয়৷ প্রার্থী ও সমর্থকদের গলায় ছিল শ্লোগান৷ তবে অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী নিজে না এসে অন্য কাউকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন৷
সমর্থকেরা ছবিসহ প্ল্যাকার্ড, কাটআউট নিয়ে সাতমসজিদ সড়কে মিছিল করেছেন৷ অনেকের হাতে ফুল, কাগজ ও কাঠের ছোট ছোট নৌকাও ছিল৷ নারী সমর্থকদেরও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের মিছিলে আসতে দেখা গেছে৷ দলে দলে মিছিল আসায় ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোড এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল৷ বাস থেকে লোকজনকে নেমে নির্দিষ্ট গন্তব্যে হেঁটে যেতে দেখা গিয়েছে৷
তবে মনোনয়ন ফরম বিক্রির প্রথম দিন বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের চিত্রটি ছিল ঠিক অন্যরকম৷ বেলা ১১টায় দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন ছিল৷ এ সময় দলের কয়েকজন নেতা-কর্মী দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন৷ রাজশাহীতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ থাকায় গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিও ছিল তুলনামূলক কম৷ এ কারণে দলটির কার্যালয়ে নির্বাচন কেন্দ্রিক কোনো ধরনের তৎপরতা দেখা যায়নি৷ এ ছাড়া দলটি এখনো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো ঘোষণাও দেয়নি৷
এপিবি/এসিবি (সূত্র: বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম, প্রথম আলো)