আওয়ামী লীগ আর বিএনপি’র দল ভাঙার অভিযোগ
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১১আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মহিউদ্দিন খান আলমগীর বলেছেন, বিএনপি'র অনেক নেতাই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন৷ আর বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেনের দাবি, নির্যাতন-নিপীড়নের মধ্য দিয়ে আসা নেতাদের ফুসলিয়ে তাদের দলে ভাঙন ধরানো যাবে না৷
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি - বাংলাদেশের এই প্রধান দু'টি রাজনৈতিক দল ভাঙার চেষ্টার অভিযোগ বেশ পুরনো৷ বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জোরেশোরেই এমন অভিযোগ উঠেছিল৷ যার ফলে উভয় দলের অনেক সিনিয়র নেতা ছিটকে পড়েছেন৷ সম্প্রতি সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিক্সের ফাঁস করা গোপন মার্কিন তারবার্তার কিছু তথ্য থেকে উঠে এসেছে বাংলাদেশে দল ভাঙার চমকপ্রদ কিছু কাহিনী৷ আর তা নিয়েই বাংলাদেশের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়৷
কয়েকদিন আগে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের দল ভাঙার চেষ্টা করছেন৷ আর আওয়ামী লীগ নেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, বিএনপি বরং রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের কারণে তাদের সিনিয়র নেতাদের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না৷ এমন আলোচনা-সমালোচনার ঝড় যখন তুঙ্গে তখন মুখ খুললেন দুই দলের দুই সিনিয়র নেতা৷
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মহিউদ্দিন খান আলমগীর বলেছেন, বিএনপি'র অনেক নেতাই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন৷ তারা বলছেন, আগে তারা চৌর্যতান্ত্রিক সরকারের কর্মী হয়ে যে কাজ করেছেন তার জন্য অনুতপ্ত৷ তাই তাদের কথাগুলো পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে৷ আর বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেনের দাবি, আগুনে পুড়ে যেভাবে খাঁটি হয়, তেমনি নির্যাতন-নিপীড়নের মধ্য দিয়ে আসা নেতাদের ফুসলিয়ে দলে ভাঙন ধরানো যাবে এটা তিনি বিশ্বাস করেন না৷
মহিউদ্দিন খান আলমগীর বলেন, সংসদে যারা সরকারের সমালোচনা করছে তারা বিএনপি'র সঙ্গে যাবে এমন যারা মনে করছে তারা বেকুবের বেহেস্তে বসবাস করছেন৷ আর মোশারফ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দলের সিনিয়র নেতাদের যে দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছে তা মন্ত্রিসভা দেখলেই বোঝা যায়৷ এমন পরিস্থিতে আওয়ামী লীগের কেউ কেউ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেই পারে৷
প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক