1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইপিএল জিতলো গুজরাট টাইটান্স

৩০ মে ২০২২

আবির্ভাবেই বাজিমাত। এই প্রথম আইপিএল খেললো গুজরাট টাইটান্স। প্রথমবারই তারা চ্যাম্পিয়ন। রাজস্থান রয়্যালসকে সাত উইকেটে হারালো তারা।

https://p.dw.com/p/4C1Pm
গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া।
গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ছবি: Getty Images/D. Sarkar

আইপিএলের নিলামে প্লেয়ার তুলে নিয়ে যখন ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি টিম তৈরি করছে, তখন গুজরাট টাইটানসের দলগঠন দেখে অনেকের মনেই সন্দেহ ছিল হার্দিক পান্ডিয়ার দল কতদূর যেতে পারবে। কারণ, তার আগে চোটের জন্য হার্দিক দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় টিমের বাইরে। বয়সের দোহাই দিয়ে ঋদ্ধিমান সাহাকে ভারতীয় দল থেকে কার্যত বের করে দিয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়। তিনিও এর বিরুদ্ধে মুখ খুলে বিতর্কে জড়িয়েছেন। শুভমন গিল কখনো ভালো খেলেন, কখনো তার ব্যাটে রান থাকে না। ডেভিড মিলার আগের আইপিএলে সুনামের সঙ্গে খেলতে পারেননি। রাহুল তেয়াটিয়ার মধ্যেও ধারাবাহিকতার অভাব। তবে মহম্মদ শামি ও রশিদ খানকে নিয়ে কোনো প্লশ্ন ছিল না। যেমন ছিল না ফার্গুসনকে নিয়ে। কিন্তু এই টিম নিয়েই বাকি দোর্দণ্ডপ্রতাপ টিমকে থামিয়ে আইপিএল জিতে নিল হার্দিক পান্ডিয়ার দল।

খেলার পর হার্দিক বলেছেন, গুজরাট টাইটানসের এই সাফল্য নিয়ে কয়েক প্রজন্ম ধরে আলোচনা হবে। তিনি বলেছেন, ''নিলাম শেষ হওয়ার পরই বুঝেছিলাম আমায় চার নম্বরে ব্যাট করতে হবে।''

হার্দিক শুধু ব্যাটে সফল হয়েছেন তাই নয়, বলেও তিনি সমান সফল। ফাইনাল ম্যাচেও তিনটি উইকেট নিয়েছেন। হার্দিক বলেছেন, ''ঠিক লেন্থ ও লাইনে বল ফেলাই হলো তার সাফল্যের চাবিকাঠি।''

হার্দিকও নিজের স্বভাবসিদ্ধ আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে রাশ টেনে টিমের স্বার্থে কিছুটা সংযত হয়ে খেলেছেন।

রাজস্থান রয়্যালসের ব্যাটিং

রাজস্থান রয়্যালস যে ফাইনালে উঠেছে, তার পিছনে ছিল জস বাটলারের ফর্ম। চারটি সেঞ্চুরি-সহ ৮৬৩ রান করেছেন বাটলার। প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছেন। কিন্তু ফাইনালে তিনি ৩৫ বলে ৩৯ রান করেন। হার্দিকের বলেই ঋদ্ধিমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। সঞ্জু স্যামসন এবার ব্যাট হাতে বেশি রান করতে পারেননি। দেবদত্ত পাড়িক্কল থেকে শুরু করে অন্যরাও ফাইনালে রান পাননি।

গুজরাট টাইটান্স টস জিতে রাজস্থানকে ব্যাট করতে পাঠায়। আইপিএলে এবার দেখা গেছে, যে দল টস জিতেছে, সেই দলই এগিয়ে থেকেছে। সেই সুবিধাটাও পেয়েছেন হার্দিক।

ব্যাট হাতে

এবার আইপিএলে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন বাটলার। সবচেয়ে বেশি চার ও ছয় মেরেছেন তিনিই। ৮৩টি বাইন্ডারি ও ৪৫টি ওভারবাউন্ডারি মেরেছেন বাটলার। তারপরেই আছেন কে এল রাহুল। তিনি করেছেন ৬১৬ রান। তিন নম্বরে থাকা কুইন্টন ডি কক ৫০৮ রান করেছেন। চারে থাকা হার্দিক করেছেন ৪৮৭ রান। পাঁচ নম্বরে আছেন গুজরাটের শুভমন গিল। তার সংগ্রহ ৪৮৩ রান।

ঋদ্ধিমান সাহা আছেন ২৭ নম্বরে। তিনি করেছেন ৩১১ রান।

বলে সফল

এবারের আইপিএলে সবচেয়ে সফল বোলার যজুবেন্দ্র চাহল। মোট ২৭টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। সামান্য পিছনে আছেন শ্রীলঙ্কার বোলার হাসারঙ্গা, তার সংগ্রহ ২৬ উইকেট। ২৩টি উইকেট পেয়ে তিন নম্বরে আছেন রাবাডা। চার নম্বরে জম্মু ও কাশ্মীরের পেসার উমরান মালিক। তিনি পেয়েছেন ২২টি উইকেট। এই পারফরমেন্সের সুবাদে ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগও পেয়েছেন। আইপিএলে তিনি সর্বোচ্চ ১৫৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে বল করেছেন। তবে ফাইনালে তার রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন ফার্গুসন। তিনি ১৫৭ দশমিক তিন কিলোমিটার গতিতে বল করেছেন। বোলিংয়ে পাঁচ নম্বরে কুলদীপ যাদব। তিনি পেয়েছেন ২১ টি উইকেট। মহম্মদ শামি ২০ উইকেট পেয়ে ষষ্ঠ স্থানে।

বাংলাদেশ থেকে মুস্তাফিজুর এই আইপিএলে খেলেছিলেন। তিনি বোলিংয়ে ৪২তম স্থানে আছেন। আট ম্যাচে আট উইকেট নিয়েছেন তিনি।

জিএইচ/এসজি (স্টার স্পোর্টস, আইপিএলটি২০ডটকম)