পাকিস্তানে বিক্ষোভ প্রত্যাহারের ঘোষণা
২৭ নভেম্বর ২০১৭তাহরিক-ই-লাবাইকের মুখপাত্র এজাজ আশরাফি বলেন, ‘‘আমাদের মূল দাবি মেনে নেয়া হয়েছে৷ সরকারের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা দেয়া হলে আমরা আমাদের বিক্ষোভ তুলে নেব৷’’ সরকারের সাথে দীর্ঘ বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত জানায় দলটি৷
গত ৮ নভেম্বর থেকে আইনমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে ইসলামাবাদ প্রবেশের মূল সড়ক অবরোধ করে তাহরিক-ই-লাবাইকের সমর্থকরা৷ সরকারের পক্ষ থেকেও বিক্ষোভ মোকাবেলায় নেয়া হয়েছিল বাড়তি সতর্কতা৷ গত শনিবার বিক্ষোভকারীদের দমনে মাঠে নামে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী৷ এসময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে সাতজন নিহত ও দু'শতাধিক আহত হয়৷ আহতদের মধ্যে অন্তত ১৩৫ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য৷ কেবল রাজধানী নয়, পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরেও ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়৷
গত অক্টোবরে নির্বাচনি আইনে কিছু সংশোধন আনা হয়, যার মধ্যে সংসদ সদস্যদের শপথবাক্যে নবি মোহাম্মদকে নিয়ে উল্লেখিত বাক্যাংশে পরিবর্তন আসে৷ পরে অনিচ্ছাকৃত ভুল দাবি করে ঐ পরিবর্তন প্রত্যাহার করা হলেও অনেক কট্টরপন্থি তা মেনে নিতে পারেননি৷ তাহরিক-ই-লাবাইকের নেতা হাফিজ উল্লাহ আলভি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সরকার বলছে, ওটা ভুলবশত হয়েছিল৷ আমরা তা মনে করি না৷ পশ্চিমের দালালরা ইচ্ছা করে এটা করেছে, তাদের অনেকে এমনকি সংসদেও আছে৷’’ আইনমন্ত্রী এ বিকৃতির শামিল হয়ে ধর্মের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন – এমন অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগের আগ পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছিল প্রতিবাদকারীরা৷
আরএন/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ)