1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অর্থমন্ত্রীদের সম্মেলনে উত্তেজনা

এসবি/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)২১ মার্চ ২০১৮

শুধু চীন নয়, ইউরোপ তথা বাকি বিশ্বের সঙ্গেও বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করতে প্রস্তুত অ্যামেরিকা৷ জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে সে দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী এমন বার্তাই দিলেন৷ পালটা পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত ইইউ৷

https://p.dw.com/p/2uflc
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী স্টিভেন মেনুশিন
ছবি: Reuters/M. Brindicci

আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেসে জি-টোয়েন্টি দেশগুলির অর্থমন্ত্রীদের সম্মেলনের শেষে স্টিভেন মেনুশিন বলেছেন, তাঁর দেশ বাণিজ্য যুদ্ধ না চাইলেও তেমন পরিস্থিতি এলে ভয় পাবে না৷ তাঁর মতে, মার্কিন স্বার্থ বজায় রেখেই মুক্ত ও ন্যায্য কাঠামোয় পারস্পরিক বাণিজ্য চায় অ্যামেরিকা৷ তবে তার মধ্যে যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে৷

ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির উপর শুল্ক চাপাতে বদ্ধপরিকর ট্রাম্প প্রশাসন৷ জি-টোয়েন্টি গোষ্ঠীর বাকি দেশগুলি এমন মনোভাব নিয়ে গভীর দুশ্চিন্তায় পড়েছে৷ অ্যামেরিকার এই নীতির ফলে মুক্ত বাণিজ্যের কাঠামোর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে৷ আপাতত এই প্রশ্নে ট্রাম্প প্রশাসনকে কোণঠাসা না করতে সম্মেলনে অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে কোনো নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়নি৷ তবে চূড়ান্ত বিবৃতিতে অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বেড়ে চলা উত্তেজনার উল্লেখ করা হয়েছে৷ ফলে মধ্যকালীন ভিত্তিতে সার্বিক প্রবৃদ্ধি ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে৷ পারস্পরিক সংলাপের ভিত্তিতে ২০২০ সালের মধ্যে সার্বিক সমাধানসূত্রে আসার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে৷

মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী সম্মেলনে উলটে চীনের উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন৷ তিনি বলেন, চীন যেভাবে জি-টোয়েন্টি দেশগুলির বাজারে প্রায় অবাধ প্রবেশের সুযোগ ভোগ করে আসছে, সে দেশের বাজারেও একই রকম সুযোগ চায় বাকি দেশগুলি৷ উল্লেখ্য, চীন ও অ্যামেরিকার মধ্যে অর্থনৈতিক সংঘাত ঘটলে সামগ্রিকভাবে বিশ্ব বাণিজ্যের ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

এমন উত্তেজনা যে শেষ পর্যন্ত অ্যামেরিকার স্বার্থে আঘাত হানতে পারে, সেই উপলব্ধি কিছুটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী ব্রুনো ল্য মেয়ার ও মেনুশিন এ বিষয়ে আলোচনায় বসার পর ফ্রান্সের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এমন ইতিবাচক মনোভাবের উল্লেখ করা হয়েছে৷ ফ্রান্সসহ ইউরোপের অনেক দেশ অ্যামেরিকাকে বোঝানোর চেষ্টা করছে যে চীনে মাত্রাতিরিক্ত উৎপাদনের ফলেই বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ তাই ইউরোপে মার্কিন সহযোগীদের উপর বাড়তি বোঝা চাপানোর কোনো অর্থ নেই৷

এর পরেও অ্যামেরিকা সার্বিকভাবে আমদানির উপর শুল্ক চাপালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না৷ অর্থনীতি ও আর্থিক বিষয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইইউ কমিশনর পিয়ের মস্কোভিসি প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে বলেছেন, ইইউ-ও বাণিজ্য যুদ্ধ চায় না৷ তবে সংলাপে কাজ না হলে ইইউ প্রয়োজনে প্রতিক্রিয়া দেখাতে প্রস্তুত৷ পালটা পদক্ষেপ স্থির করা হয়ে গেছে বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি৷ উল্লেখ্য, অ্যামাজন, অ্যাপেল, ফেসবুক ও গুগলের মতো মার্কিন কোম্পানির উপর ডিজিটাল কর চাপানোর সিদ্ধান্ত আপাতত মুলতুবি রাখছে ইইউ৷