অস্ত্র বাড়ানোর কারণ অ্যামেরিকা, কিম জং উনের সাফাই
১২ অক্টোবর ২০২১কিমের অভিযোগ, উত্তর কোরিয়ার প্রতি শত্রুতার নীতি নিয়ে চলেছে অ্যামেরিকা। তাই নিজের দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্যই তিনি সমরসম্ভার বাড়াচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
কিমের দাবি, অ্যামেরিকাই সব সমস্যার মূলে। তারা পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে শত্রুতার নীতি নিয়ে চলেছে। তার দাবি, ''আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। আমরা যুদ্ধ না করার পক্ষে। কিন্তু দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রতিরোধক গড়ে তুলছি মাত্র।'' কিম একটা প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী দেখতে গিয়ে এই কথা বলেন। সেখানে উত্তর কোরিয়ার তৈরি সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রও প্রদর্শন করা হচ্ছে।
বাইডেন প্রশাসন অবশ্য দাবি করেছে, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে তারা কোনো শত্রুতার নীতি নিয়ে চলছে না। কিমের বক্তব্য, ''অ্যামেরিকার মানুষ কি বাইডেন প্রশাসনের এই দাবি মানেন?''
ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল(আইসিবিএম)-এর সামনে দাঁড়িয়ে কিম এই মন্তব্য করেছেন। গত বছর সামরিক প্যারেডে আইসিবিএম প্রথমবার দেখানো হয়।
অস্ত্র প্রতিযোগিতা
দুই কোরিয়াই এখন উন্নত মানের অস্ত্র তৈরি করছে বা কিনছে। তার মধ্যে ছোট পাল্লার ব্যালেস্টিক মিসাইল আছে। উত্তর কোরিয়া তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তারা প্রধান পরমাণু রিঅ্যাকটারের সম্প্রসারণও করছে। পরমাণু বোমা বানানোর কাজে তা লাগানো হতে পারে।
অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া সাবমেরিন লঞ্চড ব্যালেস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা করেছে। তারা অ্যামেরিকা ও তার বন্ধু দেশগুলির কাছ থেকে এফ ৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমানও কিনেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় অ্যামেরিকার ২৮ হাজার ৫০০ সেনা মোতায়েন করা আছে। উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসন ঠেকানোর জন্য তাদের রাখা হয়েছে বলে দাবি। গত অগাস্টে দক্ষিণ কোরিয়া ও অ্যামেরিকা যৌথ সেনা মহড়াও করেছে। কিম বলেছেন, এই মহড়া আসলে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি।
সম্পর্কের উন্নতি হয়নি
২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন কিম। কিন্তু সম্পর্ক ভালো করার সেই প্রয়াস এক বছরের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়ে। অ্যামেরিকা জানিয়েছে, তারা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা শুরু করতে আগ্রহী, কিন্তু উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, আলোচনার পূর্বশর্ত হলো, তাদের বিরুদ্ধে সব নিষেধাজ্ঞা আগে তুলে নিতে হবে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়াকে সামরিক সাহায্য দেয়া বন্ধ করতে হবে।
জিএইচ/এসজি(রয়টার্স, এপি, এএফপি)