1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য হুমকি?

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৪ জুন ২০১৪

হবিগঞ্জের বনাঞ্চল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, সমরাস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধারের ঘটনাকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য বড় ধরণের হুমকি বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা৷

https://p.dw.com/p/1CBMm
র‌্যাবের অভিযানে এখন পর্যন্ত সাতটি বাংকারের খোঁজ পাওয়া গেছেছবি: DW

২০০৪ সালে চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের পর মঙ্গলবার হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধারের ঘটনাটিই সবচেয়ে বড়৷

নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং সেন্টার ফর পিস এন্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ এর প্রধান মেজর জেনারেল এম মুনীরুজ্জামান (অব.) ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত যা খবর তাতে ঘটনা ভয়াবহ এবং গুরুতর৷ বাংকারে দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র এবং গোলাবারুদ মজুদ করা হয়েছে এবং এটা একটি বড় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর কাজ৷ আর এ থেকে প্রমাণ হয় বাংলাদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী তৎপর৷ ধারণা করা হয়েছিল চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের পর বাইরের বিচ্ছিন্তাবাদীরা এখানে আর নেই৷ তবে এখন তা ভুল প্রমাণিত হলো৷'' তিনি বলেন, বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো ফাঁক থাকার সুযোগ নিচ্ছে তারা৷ সরকার যেসব কথা বলছে তার সঙ্গে পুরো প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কাজ করছেনা৷

মুনীরুজ্জামান বলেন, ‘‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের সাম্প্রতিক ঘটনাও নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে বাংলাদেশকে৷ মিয়ানমার যেভাবে স্থল এবং জলপথে মহড়া দিচ্ছে তাতে পরিস্থিতি অত সহজ মনে হয় না৷ সহজে পরিস্থিতি শান্ত হবে না৷''

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে আটক জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা উল্লেখ করে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যাপক ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলেও তিনি মনে করেন৷

মুনীরুজ্জামান বলেন, ‘‘সংরক্ষিত সাতছড়ি বনাঞ্চলে যে বাংকার এবং যেধরণের অস্ত্র এবং গোলাবারুদ মিলেছে তাতে এটাকে দীর্ঘদিনের ঘাঁটি বলে মনে হচ্ছে এবং এটা বিছিন্নতাবাদী গ্রুপের কাজ৷''

উল্লেখ্য, সাতছড়ি সীমান্ত ঘেঁষে থাকা বনে এক সময় ‘অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স' এটিটিএফ এর সদর দফতর ছিল৷ এই সংগঠনের সদস্যরা সাতছড়ি এলাকায় অপরহরণ এবং মুক্তিপণ আদায় করত৷ ২০১৩ সালের জুনে বাংলাদেশ এটিটিএফ এর প্রধান রঞ্জিত দেববর্মনকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করার পর সংগঠনটি দুর্বল হয়ে পড়ে বলে জানা যায়৷

র‌্যাবের অভিযানে সেখানে এখন পর্যন্ত মোট সাতটি বাংকারের খোঁজ পাওয়া গেছে৷ এগুলো ৫০ থেকে ১০০ ফুট গভীর৷ সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ রকেট লঞ্চার, ট্যাঙ্কবিধ্বংসী বিস্ফোরক, মর্টার শেল, রকেট লঞ্চারের চার্জারসহ সমরাস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য