ম্যার্কেল আরো সংকটে
৩ নভেম্বর ২০১৫জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইউরোপমুখী স্রোত আগের সব সময়ের চেয়ে অনেক বেশি প্রবল৷ শুধু অক্টোবর মাসেই ইউরোপে প্রবেশ করেছে ২ লক্ষ ১৮ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী৷ এর মধ্যে ২ লক্ষ ১০ হাজার ২৬৫ জন সমুদ্রপথে তুরস্ক থেকে ঢুকেছে গ্রিসে৷ বাকি ৮ হাজার ১২৯ জন উত্তর আফ্রিকার দেশগুলো থেকে ইটালিতে ঢুকেছে৷ শুরুতে গ্রিস আর ইটালিতে প্রবেশ করলেও অভিবাসনপ্রত্যাশীরা অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ইউরোপীয় দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে৷ ইউএনএইচসিআর-এর হিসেব অনুযায়ী এ বছর মোট অন্তত ৬ লক্ষ মানুষ অভিবাসী হতে ইউরোপে এসেছে৷
সবচেয়ে বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী এসেছে জার্মানিতে৷ আঙ্গেলা ম্যার্কেল সরকার এখনো স্বাগতই জানাচ্ছে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের৷
তবে উল্টো স্রোত তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে রাজনীতির ময়দানে৷ ব্যাপক হারে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগমনে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল জোটের মধ্যেই কোণঠাসা৷ বিশ্লেষকরার বলছেন, এখন তিনি রাজনৈতিক জীবনেরই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি৷
এবং সেই চ্যালেঞ্জের সামনে তিনি একা!
এদিকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে জনমনেও ক্ষোভ এবং শঙ্কা বাড়ার ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে৷ জার্মানির কিছু শিবির থেকে হঠাৎ উধাও হয়ে যাচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা৷ অনেকে নাম, পরিচয় নথিভুক্ত করার আগেই গোপনে শিবির ছাড়ছেন৷ লোয়ার স্যাক্সনির শিবিরগুলো থেকে এ পর্যন্ত ৭০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী উধাও হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনও পড়েছেন সমালোচনার মুখে৷ অনেকেই নাম নথিভুক্ত করার আগেই চলে গেছেন বলে সারা দেশের মোট ‘নিখোঁজ' অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা নির্ণয় করা যাচ্ছেনা৷ তবে সংখ্যাটা যত বড় হচ্ছে, ততই বাড়ছে অসন্তোষ, ক্ষোভ, শঙ্কা এবং ম্যার্কেলের সমালোচনা৷
কোথাও কোথাও চোরাগোপ্তা হামলার শিকারও হচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা৷
সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ
আপনি কি ম্যার্কেলের এই অভিবাসননীতি সমর্থন করেন? জানিয়ে দিন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷