জামিন পেলেন রসরাজ
১৬ জানুয়ারি ২০১৭এক মাস আগেও ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল, ‘আইনের প্যাঁচে এখন পর্যুদস্ত নির্দোষ রসরাজ'৷ সেই প্রতিবেদনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেছিলেন, ‘‘ফরেনসিক রিপোর্টে দেখা গেছে রসরাজের মোবাইল ফোন থেকে ফেসবুকে ওই পোস্ট দেয়া হয়নি৷ কিন্তু তাঁর আইডি থেকে পোস্ট দেয়া হয়েছে৷ এখন আমাদের তদন্তের বিষয় হলো, তাহলে কে পোস্ট দিয়েছে? বিষয়টি আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি৷'' এ কারণে পুলিশ এতদিনেও তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি৷ আর তাই জামিনও পাননি রসরাজ৷ তবে সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে৷ রসরাজ দাসের আইনজীবী আশা করছেন সোমবার তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেতে পারেন৷
গত ৩০শে অক্টোব রসরাজ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন – এই অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু জনপদে দিনভর সহিংসতা চালানো হয়৷ এ সময় অন্তত ১০টি মন্দির ও হিন্দুদের বেশ কিছু বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট চালানো হয়৷ প্রতিবাদের নামে সহিংশতা শুরুর আগেই রসরাজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ পরে পুলিশ জানায়, তদন্তে তারা নিশ্চিত হয়েছে যে, রসরাজের মোবাইল ফোন থেকে কোনো ফেসবুকে পোস্ট করা হয়নি৷ স্থানীয়রা শুরু থেকেই সংবাদমাধ্যমকে বলে আসছেন, রসরাজ লেখাপড়া জানেন না, তাই তার পক্ষে এমন পোস্ট দেয়া অকল্পনীয়৷
এসিবি/ডিজি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
এ বিষয়ে আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচের ঘরে৷