সংসদে অনুপ চেটিয়া প্রসঙ্গ
৯ জুন ২০১৪রোববার সংসদে স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘‘অনুপ চেটিয়া কারাগার থেকে স্বেচ্ছায় স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আবেদন করেছেন৷ তাঁর আবেদন প্রক্রিয়াধীন আছে৷'' তিনি আরও জানান, ‘‘ভারতীয় নাগরিক অনুপ চেটিয়া ওরফে গোলাপ বড়ুয়া বিভিন্ন অভিযোগে সাজা ভোগের পর বন্দি হিসেবে বাংলাদেশের কারাগারে আটক আছেন৷''
ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম – উলফার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক অনুপ চেটিয়াকে ১৯৯৭ সালের ২১শে ডিসেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়৷
অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ, বিদেশি মুদ্রা এবং স্যাটেলাইট ফোন রাখার অভিযোগে তিনটি মামলায় অনুপ চেটিয়াকে যথাক্রমে তিন, চার ও সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত৷ সেই সাজার মেয়াদ শেষ হয় ২০০৭ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি৷ সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এখন তিনি রাজশাহী কারাগারে আছেন৷
২০০৫, ২০০৮ ও ২০১১ সালে বাংলাদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে তিন দফা আবেদন করেন অনুপ চেটিয়া৷ শরণার্থীর মর্যাদা পাওয়ার জন্য ২০০৮ সালে জাতিসংঘেও চিঠি লেখেন তিনি৷ আর বাংলাদেশের একটি মানবাধিকার সংগঠনও তাঁর নিরাপত্তা হেফাজতের জন্য উচ্চ আদালতে যায়৷ তবে সর্বশেষ তিনি ভারতে ফিরে যাওয়ার জন্য কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন৷
ভারত সরকার শুরু থেকেই চেটিয়াকে ফেরত চাইলেও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দুই দেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকার কথা বলা হচ্ছিল৷ দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময়ে ‘বহিঃসমর্পণ চুক্তি' সই হওয়ার পর অনুপ চেটিয়াকে হস্তান্তরের আইনি পথ তৈরি হয়৷ এর আগেও ২০১১ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন, অনুপ চেটিয়াকে ফেরত পাঠানো হবে৷ সাহারা খাতুনের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে আসা মহীউদ্দীন খান আলমগীরও ২০১২ সালে এই উলফা নেতাকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ার কথা জানিয়েছিলেন৷
অন্যদিকে ফেনীর সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকার বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে চোরাচালান ও মাদক আমদানি প্রতিরোধে মোট ২৮৫ কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া এবং কয়েক ধাপে সমান দূরত্বের রিং রোড তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে৷