অধরাসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইন বন্ধের আহ্বান
১৪ জুলাই ২০২৩সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার আন্তর্জাতিক সংগঠন সিপিজে একই সঙ্গে সাংবাদিকদের ভয়ভীতি দেখাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছে৷ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এসব আহ্বান জানায় সিপিজে৷
চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে গত ১৩ মে সাংবাদিক অধরা ইয়াসমিন ও তার সোর্সের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়৷
এর আগে গত ৩০ এপ্রিল আরটিভিতে অধরার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করা হয়৷ ওই প্রতিবেদনে তিনি রাজারবাগ দরবার শরীফ ও এর নেতা শাকেরুল কবিরের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কথা প্রকাশ করেন৷ এ কারণে সংক্ষুব্ধ এক ব্যক্তি চট্টগ্রামের আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন৷ এ বিষয়ে মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত এক ব্যক্তি নাম গোপন রাখার শর্তে সিপিজের সঙ্গে কথা বলেন৷
মামলায় সাংবাদিক অধরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের তিনটি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে৷
অন্যদিকে তদন্তে অধরা ইয়াসমিন বলেছেন, শাকেরুল কবিরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি দখল ও নারীর প্রতি সহিংসতার অভিযোগ রয়েছে৷
সিপিজের বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৮ সালে বাংলাদেশেডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকর হয়৷ এর পর থেকে বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের হয়রানি করতে এই আইনের ব্যবহার দেখা গেছে৷ চলতি বছরের মার্চে প্রথম আলোর সাংবাদিককে (শামসুজ্জামান শামস) গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে এই আইনের আওতায় একাধিক তদন্ত শুরু করা হয়৷ এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক সংবাদপত্রের নেতৃত্ব ও কর্মীদের ওপর এই আইনের ব্যবহার বন্ধে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন৷
সিপিজে ও অন্যান্য অধিকার সংগঠনগুলোও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে৷
বিবৃতিতে সিপিজের প্রোগ্রাম পরিচালক কার্লোস মার্তিনেজ দে লা সেরনা বলেন, আতঙ্কের বিষয় এটা যে বাংলাদেশি সাংবাদিক অধরা ইয়াসমিনকে তার কাজের জন্য কঠোর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে৷ অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে অধরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে চলা তদন্ত বন্ধ করতে হবে৷
সাংবাদিকদের হয়রানি করতে এই আইনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে৷ নিশ্চিত করতে হবে যে অধরা ইয়াসমিন তার কাজের জন্য রোষের শিকার হবেন না৷
সিপিজে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রাজারবাগ দরবার শরীফ ও এর নেতা শাকেরুল কবির ও ইয়াসমিনের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রফিকুল ইসলামকে ফোন করেছে ও বার্তা পাঠিয়েছে৷ তবে তারা কোনো উত্তর দেননি৷
এনএস/জেডএইচ (প্রথম আলো)