বিনামূল্যে স্যানিটারি প্যাড দেবে সরকার
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এএফপিকে বলেন, আগামী বছরের শুরুতে ৯০ হাজার গ্রামে এমন একটি প্রকল্প চালুর পরিকল্পনা করছে সরকার৷
গবেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ঋতুস্রাব নিয়ে এক ধরনের ট্যাবু রয়েছে৷ ঋতুস্রাবের সময় ৪০ শতাংশ ছাত্রী বিদ্যালয়ে না গিয়ে বাড়িতে থাকে৷
এমবিবিএস ডিগ্রীধারী মুরাদ হাসান এর আগে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ছিলেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা খুবই উদ্বেগজনক, আমরা তাদের ভবিষ্যৎকে ঝুঁকিতে রাখতে পারি না৷ ঋতুস্রাবের প্যাডের অপ্রাপ্যতা, এবং স্বাস্থ্যসম্মত প্যাডের দাম বেশি হওয়া এবং বিদ্যালয়গুলোতে এগুলো না থাকায় ওই সময় ছাত্রীরা স্কুলে যায় না৷
গ্রামগুলোতে বাংলাদেশের ৬৩ শতাংশ মানুষ বসবাস করে৷ দরিদ্র অভিভাবকরা তাদের মেয়েদের ঋতুস্রাবের সময় স্বাস্থ্যসম্মত প্যাড কিনে দিতে পারেন না বলে ওই সময় তাদের বাড়িতেই থাকতে বলেন৷
বিশ্ব ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মাত্র ছয় শতাংশ বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে ঋতুস্রাব বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে৷
বিভিন্ন দাতা সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ঋতুস্রাব সম্পর্কে সচেতন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান মুরাদ হাসান৷
সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু৷ তিনি এএফিপকে বলেন, ''আমরা দীর্ঘদিন ধরে এটা দাবি করে আসছি৷ এটি খুবই ইতিবাচক উদ্যোগ, যা সামাজিক দৈন্যতা মোকাবেলায় সহায়তা করবে৷ এই উদ্যোগটি অবশ্যই ঝরে পড়ার হার কমাতে সহায়তা করবে৷’’
এআই/এসিবি (এএফপি)