1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে জরিমানা’

৪ জুলাই ২০১২

বেসরকারি ভাড়া ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর অধিকাংশই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ডিজেল ও ফার্নেস অয়েলের ব্যবহার দেখাচ্ছে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে৷ অথচ চুক্তি অনুযায়ী, তারা ভর্তুকি দামে জ্বালানি তেল পায় বিপিসি থেকে৷

https://p.dw.com/p/15Qdn
ছবি: DW/Tanios

বাংলাদেশে বেসরকারি খাতে জ্বালানি তেল নির্ভর ভাড়া ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র মোট ১৫টি৷ চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ পেট্রেলিয়াম কর্পোরেশন বা বিপিসি তাদের ভর্তুকি দামে তেল সরবরাহ করে৷ প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২১৭ থেকে ২১৮ মি. লি. জ্বালানি তেল লাগার কথা৷ কিন্তু বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বা পিডিবি ১৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে চিহ্নিত করেছে, যারা প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২৬০ মি. লি. তেল খরচ দেখাচ্ছে৷ তা গ্রহণযোগ্য নয় পিডিবি'র কাছে৷ তাই ঐ ১৩টি কোম্পানিকে ১৩০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে৷ পিডিবি'র চেয়ারম্যান আলমগির কবির বলেছেন, এব্যাপারে তারা শক্ত অবস্থান নিয়েছেন৷ আর সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতো এরকম অতিরিক্ত জ্বালানি তেল খরচের ঘটনা এখনো তাদের নজরে আসেনি৷

তবে বেসরকারি ভাড়া ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিকরা পাল্টা যুক্তি দেখান৷ ইউনাইটেড পাওয়ার'এর সৈয়দ আব্দুল মইদ বলেন, জ্বালানি তেলে পানির স্তর থাকে৷ তাই তাদের যে তেল সরবারাহ করা হয়, প্রকৃত পক্ষে তার একটি অংশ ব্যবহার করা যায়না৷ আর সামিট পাওয়ারের তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বিপিসি'র সরবরাহ করা জ্বালানি তেলের মান ভালো নয়৷ তাই বিদ্যুৎ উৎপাদনে তেল বেশি খরচ হয়৷

তবে বিপিসি'র চেয়ারম্যান আবুবকর সিদ্দিক এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জ্বালানি তেলের মান নিশ্চিত হওয়ার পরই সরবরাহ করা হয়৷

এদিকে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দুদক৷ ইতিমধ্যেই দুদক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছে বলে প্রকাশ৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য