1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘হ্যালোইন দুর্ঘটনা' তদন্তের মাঝপথে পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু

১২ নভেম্বর ২০২২

দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, হ্যালোউইন উৎসবের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছিল৷ শুক্রবার সৌলের বাড়ি থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়৷

https://p.dw.com/p/4JQSz
৫৫ বছরের জিয়ংয়ের বিরুদ্ধে সম্প্রতি গুরুতর অভিযোগ ওঠে
৫৫ বছরের জিয়ংয়ের বিরুদ্ধে সম্প্রতি গুরুতর অভিযোগ ওঠেছবি: KIM HONG-JI/REUTERS

২৯ অক্টোবর সৌলের ওই দুর্ঘটনায় ১৫৬ জনের মৃত্যু হয়, ১৯৮ জন আহত হন৷ মৃতদের বেশিরভাগের বয়স কুড়ি থেকে তিরিশের কোঠায় বলে জানায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ৷ দক্ষিণ কোরিয়ার ইটায়েওন জেলায় সরু রাস্তায় হ্যালোউইন উৎসবের ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে ব্যাপক এই হতাহতের ঘটনা ঘটে৷

আধিকারিকরা শুধুমাত্র উপাধি জিয়ং দিয়েই ওই মৃত পুলিশ কর্তাকে শনাক্ত করেছেন৷ ইয়ংসান পুলিশ স্টেশনে গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন জিয়ং৷ ইটাওয়েন ইয়ংসানেরই অন্তর্ভুক্ত৷ সৌলের বাড়িতে শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট নাগাদ পরিবারের এক সদস্য তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান৷ নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তার বিবৃতি উল্লেখ করে ইয়োনহাপ এ কথা জানিয়েছে৷

সংবাদসংস্থা রয়টার্স ওই পুলিশ স্টেশনে বারবার ফোন করলেও কেউ ফোন ধরেননি৷

৫৫ বছরের জিয়ংয়ের বিরুদ্ধে সম্প্রতি গুরুতর অভিযোগ ওঠে৷ হ্যালোউইনে পদপিষ্ট হয়ে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু হওয়ার পর চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে৷ জানা যায়, ওই দুর্ঘটনা সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল আগেই৷ অভিযোগ ওঠে, সেই সংক্রান্ত তদন্তমূলক রিপোর্টগুলি সরিয়ে ফেলেছিলেন জিয়ং৷

সোমবার সংসদীয় অধিবেশনে আইনপ্রণেতারা এই নথি সরানো নিয়ে তীব্র নিন্দা করেন৷ দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি তোলেন৷

দেশটির পুলিশ প্রধান ইয়ুন-হে-কেওন আইনপ্রণেতাদের বলেন, ইয়ংসান স্টেশনের গোয়েন্দা প্রধান ওই রেকর্ডগুলি মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা নিয়ে তদন্ত করা হবে৷

ঘটনার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে পুলিশ বিভাগ৷ বিশেষ করে, আপৎকালীন কলগুলির ট্রান্সস্ক্রিপ্ট, অর্থাৎ প্রতিলিপি প্রকাশের পরে জানা যায়, বিপদের আশঙ্কা করে অনেক মানুষ পুলিশকে সতর্ক করার চেষ্টা করেছিলেন৷ দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে এ বিষয়ে সাহায্য চাওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু ব্যবস্থা নেয়া হয়নি৷

তারপরই পুলিশকর্তার মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য আরো বাড়ছে৷

আরকেসি/এসিবি (রয়টার্স)