হোপ ফেরালেন উইন্ডিজের আশা
১১ ডিসেম্বর ২০১৮দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ৷ টাইগারদের প্রথম ওয়ানডে জয়ী একাদশে কোনো পরিবর্তন আসেনি৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশে পরিবর্তন ছিল একটি৷ ওপেনার কাইরান পাওয়েলের জায়গায় বাঁহাতি ব্যাটসম্যান চন্দ্রপল হেমরাজকে নেয়া হয় দলে৷
শুরুতেই উইন্ডিজ বোলার ওশান টমাসের গতির ঝড়ে পড়েন দুই ওপেনার৷ দ্বিতীয় ওভারে টমাসের একটি ইয়র্কার পায়ে লেগে চোট পান লিটন দাস৷ এক রান নিলেও পরে শুয়ে পড়েন মাঠে৷ ফিজিওর প্রাথমিক চিকিৎসাতেও কাজ না হওয়ায় মাঠ ছাড়েন স্ট্রেচারে করে৷
৫ রানে লিটন অবসরে গেলে মাঠে নামেন ইমরুল কায়েস৷ আগের ম্যাচে টমাসের বলেই বোল্ড হওয়া ইমরুল এবারও কট বিহাইন্ড শুন্য রানে৷ তবে লিটন-ইমরুলের বিদায় ভালোই সামাল দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম৷ ১১১ রানের পার্টনারশিপ ভাঙে তামিমের বিদায়ে৷ ৫০ রান করে তামিম যখন প্যাভিলিয়নের পথে, বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে তখন ২৩.৩ ওভারে দুই উইকেটে ১২৫ রান৷
৪১.১ ওভারে বাংলাদেশের দলীয় স্কোর ২০০ স্পর্শ করে৷ মুশফিক-মাহমুদুল্লাহর বিদায়ের পরও হাতে রয়েছে ছয় উইকেট৷ তিনশ রানের সংগ্রহের পথে সেসময় কোনো বাধা দেখা যাচ্ছিলো না৷ কিন্ত এর পর ধস নামে টাইগারদের মিডল অর্ডারে৷
ব্যক্তিগত মাত্র ছয় রানে সৌম্য সরকারের বিদায়ে আহত হয়ে মাঠ ছাড়া লিটন আবার আসেন ব্যাটিংয়ে৷ কিন্তু মাত্র তিন ওভার পর ৪৬তম ওভারে ছক্কা মারতে গিয়ে ব্যক্তিগত আট রানে লং অনে ক্যাচ দেন তিনি৷ পরের ওভারে কেমার রোচের দারুণ এক স্লোয়ারে বিভ্রান্ত হয়ে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন সাকিবও৷
স্লগ ওভারে প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেনি বাংলাদেশ৷ মাশরাফি ও মিরাজ শেষ দুই ওভার থেকে নিতে পেরেছেন মাত্র ৫ রান৷ শেষ পাঁচ ওভারে বাংলাদেশের স্কোরে যোগ হয়েছে মাত্র ২৬ রান৷ বাংলাদেশের রানের চাকা থামে ২৫৫ রানে৷
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রত্যাবর্তন
উইকেট বিবেচনায় একসময় বাংলাদেশের দেয়া টার্গেট বেশ বড়ই মনে হচ্ছিল৷ দ্বিতীয় ওভারেই হেমরাজকে এলবিডব্লু করে মেহেদী হাসান মিরাজ সে পালে লাগিয়েছিলেন জোর হাওয়া৷
কিন্তু এরপরই দেয়াল হয়ে এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে পড়েন শেই হোপ৷ ড্যারেন ব্রাভোকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে গড়ে তুলেন ৬৫ রানের জুটি৷ রুবেল হোসেন নিজের প্রথম ওভারে ব্রাভোকে বোল্ড করে বিদায় করলেও কমেনি রানের গতি৷
মারলন স্যামুয়েলস মাঠে নেমে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ও তুলে নেন অর্ধশত রান৷ মুস্তাফিজুর রহমানের কাটারে ৪৫ বলে ২৬ রান করে আউট হন স্যামুয়েলস৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজ তখন পৌছে গেছে ৩৩ ওভারে চার উইকেটে ১৫৫৷
এরপর শুরু হয় বাংলাদেশের ফিল্ডারদের ক্যাচ মিস আর মিস ফিল্ডিংয়ের মহড়া৷ স্যামুয়েলসের বিদায়ে ক্রিজে আসা শিমরন হেটমায়ার রুবেলের বলে শূন্য রানে সহজ ক্যাচ তুলে দিলেও তা তালুবন্দি করতে পারেননি ইমরুল৷ এর পর ২৫ রানের মধ্যে দ্রুত তিন উইকেট তুলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা৷
সুযোগ এসেছিল আরো৷ পরপর দুইবার হোপের সঙ্গী কিমো পলকে আউট করার সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ৷ ব্যক্তিগত ছয় রানে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে আসা ক্যাচ ডাইভ দিয়েও ধরতে পারেননি নাজমুল ইসলাম অপু৷ পরে আবার ব্যক্তিগত ১২ রানে রুবেলের বলে পুল করে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিলেন পল৷ এবারো বল গেল অপুর কাছে, আবারো মিস৷
শেষ পর্যন্ত দুই বল বাকি থাকতে সেই পলকে সাথে নিয়েই হোপ ভেড়ালেন ক্যারিবীয় তরী৷
এডিকে/এপিবি